বুদাপেস্টের পুসকাস এরেনায় এমন এক রেকর্ড নিয়ে ইংল্যান্ড মাঠে নেমেছিল, যাতে তাদের গর্ব আর অহঙ্কারই মিশেছিল। কিন্তু স্বাগতিকরা পুসকাস এরেনায় হ্যারি কেনদের সেই গর্ব আর অহঙ্কার ভেঙেচুরে খান খান করে দিয়েছে।
৬০ বছর ইংলিশদের হারাতে পারেনি হাঙ্গেরিয়ানরা। অবশেষে ৬০ বছরের সেই আক্ষেপ ঘুচলো তাদের। উয়েফা নেশন্স লিগে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই ১-০ গোলে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ইতিহাস তৈরি করলো হাঙ্গেরিয়ানরা। হাঙ্গেরির হয়ে পেনাল্টি থেকে একমাত্র গোলটি করেন ডমিনিক সোবোসলাই।
আগেরদিন অঘটনের শিকার হয়েছিল ফ্রান্স, ক্রোয়েশিয়া। ডেনমার্কের কাছে হেরেছিল বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। গত বিশ্বকাপের ফাইনালিস্ট ক্রোয়েশিয়া হেরেছিল অস্ট্রিয়ার কাছে। আবার বেলজিয়াম ৪ গোল হজম করেছিল নেদারল্যান্ডসের কাছে। অঘটনের সেই ধারা অব্যাহত রেখে হারলো ইংল্যান্ডও।
সর্বশেষ চিলিতে হওয়া ১৯৬২ বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে দুই দলের প্রথম ম্যাচে হাঙ্গেরি জিতেছিল ২-১ গোলে। এরপর গত ৬০ বছরে ১৫বার মুখোমুখি হয়েছিল দু’দল। কিন্তু হাঙ্গেরি একবারও জিততে পারেনি।
ইউরো ২০২০ চলাকালীন হাঙ্গেরির সমর্থকদের বর্ণবাদী ও সমকামীদের বিরুদ্ধে আচরণের জন্য শাস্তি হিসেবে দেশটিকে এই ম্যাচ খেলতে হয় ‘দর্শকশূন্য’ স্টেডিয়ামে। তবু মাঠে ছিল অনেক দর্শক। উয়েফার নিয়মে স্কুল অথবা ফুটবল একাডেমি থেকে ১৪ বা এর কম বয়সী শিশুদের বিনামূল্যে ম্যাচের জন্য আমন্ত্রণ জানানো যেতে পারে, যদি তাদের সঙ্গে একজন প্রাপ্তবয়স্ক থাকেন।
সে কারণেই দর্শক উপস্থিতি ছিল অনেক। তাদের সামনেই দারুণ জমে উঠেছিল ম্যাচটি। ইংলিশদের বিপক্ষে আরও বেশি ব্যবধানে জিততে পারতো স্বাগতিককরা। যদি শেষ মুহূর্তে আন্দ্রেস স্ক্যাফার একটি দারুণ সুযোগ মিস করে ফেলেন।
পরিবর্তিত হিসেবে মাঠে নামার ২ মিনিট পরই হাঙ্গেরিকে পেনাল্টি উপহার দেন রিস জেমস। ৬৬ মিনিটে বক্সের মধ্যে সল্ট নেগিকে বাজেভাবে ফাউল করে ফেলে দেন। রেফারি সঙ্গে সঙ্গে পেনাল্টির বাঁশি বাজালে স্পট কিক নিতে আসেন সোবোসলাই। তার শটটি জড়িয়ে যায় ইংল্যান্ডের জালে।
নদী বন্দর/এসএফ