খাগড়াছড়ির রামগড়ে ফেনী নদী পরিদর্শনে করেছে যৌথ নদী কমিশনের (জেআরসি) একটি প্রতিনিধিদল। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টায় এই প্রতিনিধি দল রামগড়-সাবরুম সীমান্তের মাঝে অবস্থিত ফেনী নদী পরিদর্শনে রামগড়ে আসেন। বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু সংলগ্ন ভারতীয় এলাকায় এ প্রতিনিধি দল পরিদর্শন শেষে বৈঠকে বসেন।
রামগড় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খোন্দকার মু. ইফতেখার উদ্দীন আরাফাত জানান, সীমান্তবর্তী ফেনী নদীর মাঝখানে ইনটেক ওয়েলে বা কূপ খনন করে পাইপের মাধ্যমে সমঝোতার ১.৮২ কিউসেক পানি উত্তোলন করতে চাচ্ছে ভারত।
জল প্রবাহ ভারতীয় অংশে না করে নদীর মধ্যবর্তী স্থানে কূপ খননের প্রস্তাবনার বিষয়ে প্রকৌশলগত যথার্থতা খতিয়ে দেখতে পরিদর্শনে আসে এ প্রতিনিধি দল। তিনি আরও জানান, এ প্রতিনিধি দল ফেনী নদীর যেসব স্থানে ব্লক স্থাপন করা হবে সেসব জায়গা পরিদর্শন করেছে।
এসময় বাংলাদেশের পক্ষে ১৫ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. রমজান আলী প্রামানিক। আরও ছিলেন পাউবো’র চট্টগ্রাম শাখার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শিবেন্দুখাস্তগীর, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ড. জীবন কুমার সরকার, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব নাজমুল ইসলাম ভূঁইয়া, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিপ্তরের সহকারী পরিচালক ফেরদৌস হোসেন, রামগড় ৪৩ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল হাফিজুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খোন্দকার মো. ইফতেখার উদ্দীন আরাফাত প্রমুখ।
অন্যদিকে, ভারতীয় প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন দক্ষিণ ত্রিপুরার জেলা শাসক সাজু ওয়াহিদ।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালে ভারতের ত্রিপুরার সাবরুম শহরে খাবার পানির সংকট মেটাতে ফেনী নদী থেকে ১.৮২ কিউসেক পানি উত্তোলনের সিদ্বান্ত নেওয়া হয়। পরবর্তিতে ২০১৯ সালের অক্টোবরে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়।
নদী বন্দর/এসএফ