হাওরের প্রবেশ দ্বার হিসেবে পরিচিত কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার বালিখোলা। বালিখোলার খ্যাতি রয়েছে হাওরের তাজা মাছের জন্য। পাইকারি এ বাজারে পাওয়া যায় হাওরের নদ-নদী ও মুক্ত জলাশয়ের তরতাজা সব মাছ। ভোরের এ বাজার জমে সকাল ৭টায়। শেষ হয়ে যায় ১০টার মধ্যে। মাত্র তিন ঘণ্টায় এ বাজারে কেনা-বেচা হয় কোটি টাকার মাছ।
হাওরে নদ-নদী ও জলাশয়ের পানি কমে আসায় কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার বালিখোলা পাইকারি বাজারে বেড়েছে মাছের সরবরাহ। বেশি মাছ ধরা পড়ায় কমেছে সব ধরনের মাছের দাম।
ধনী নদীর তীরে হাওর পাড়ের এ প্রাচীন বাজারে রুই, কাতল, বোয়াল, আইড়সহ নানা প্রজাতির মিঠা পানির তাজা মাছ পাওয়া যায়। সকাল ৭টা থেকে ক্রেতা-বিক্রেতার হাঁকডাকে জমজমাট হয়ে ওঠে বাজার।
কুয়াশাচ্ছন্ন ভোরে মিঠা পানির তাজা মাছ বেচাকেনার এমন দৃশ্য হাওরের প্রবেশ দ্বার হিসেবে পরিচিত ধনু নদীর তীরের বালিখোলা বাজারের।
রাতের আঁধার কাটতে না কাটতেই ছোট-বড় নৌকা বোঝাই করে হাওরের মিঠাপানির তরতাজা মাছ নিয়ে বিক্রেতারা আসেন পাইকারি এ বাজারে। হাওরে নদ-নদী ও জলাশয়ের পানি কমতে থাকায় বাজারে বেড়েছে মাছের সরবরাহ। আর যোগান বেশি থাকায় কমেছে সব ধরনের মাছের দাম। পাইকারি এ মাছের বাজারে মিলছে রুই, কাতল, বোয়াল, আইড়, বাইম, গুলসা, চিংড়িসহ নানা জাতের মাছ।
প্রতিযোগিতামূলক দরদামে জেলে ও মৎস্য খামারের মালিকদের কাছ থেকে মাছ কিনছেন পাইকাররা। এরপর সেগুলো চলে যাচ্ছে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে।
বাজারে রুই ৮শ থেকে ৯শ টাকা, কাতল ৬শ থেকে ৭শ টাকা, বোয়াল ৭শ থেকে ৮শ টাকা, চিংড়ি ৬শ থেকে ৭শ টাকা, গুলশা ৪শ থেকে ৫শ টাকা, ট্যাংরা ২শ থেকে ৪শ টাকা এবং অন্যান্য ছোট মাছ দেড়শ থেকে দু’শো টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বালিখোলা বাজারে অন্তত ৬০টি আড়ৎ রয়েছে। কিশোরগঞ্জের বৃহত্তম হাওর ছাড়াও পার্শ্ববর্তী হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনার হাওরের মাছ এ বাজারে বিক্রি হয়।
বালিখোলা বাজার আড়ৎ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. সিদ্দিক মিয়া জানান, এখানে প্রতিদিন প্রায় কোটি টাকার মাছ কেনাবেচা হয়। প্রায় দেড়শ বছরের পুরনো এ বাজারে সকাল ৭টা থেকে ১০টা পর্যন্ত চলে বেচাকেনা।
নদী বন্দর / পিকে