গাইবান্ধায় ঘাঘট, তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র ও করতোয়া নদীর পানি বেড়ে চলছে। ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে ঘাঘট নদীতে বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। এতে বন্যা আতংকে রয়েছে নদী পাড়ের মানুষ।
এদিকে নদীতে পানি বাড়ায় সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি, সাঘাটা, গাইবান্ধা সদরের চর অঞ্চলের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। নদীতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। বাড়িঘর, গাছপালাসহ অনেক ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। জেলার চার উপজেলার শতাধিক পরিবার ভাঙনের শিকার হয়ে নিঃস্ব হয়েছেন।
শনিবার (১৮ জুন) সন্ধ্যা ৬টার দিকে গাইবান্ধা সদর পয়েন্টে বিপৎসীমার সমান হয়ে ঘাঘট নদীর পানি প্রবাহিত হচ্ছে। একইভাবে তিস্তার কাউনিয়া পয়েন্টে ৩০ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্র নদের ফুলছড়ি পয়েন্টে ২৬ সেন্টিমিটার ও করতোয়ার নদীর চর রহিমাপুর পয়েন্টে ১ দশমিক ৫৪ সেন্টিমিটার বিপৎসীমার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
ফুলছড়ি উপজেলার কটিয়ারা গ্রামের আলমগীর হোসেন বলেন, কয়েকদিনে নদীর পানি ব্যাপক হারে বাড়ছে। নদীর ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। পাটের জমিসহ অনেক আবাদি জমি নদীতে ভেঙে গেছে।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিবার্হী প্রকৌশলী মো. আবু রায়হান বলেন, জেলার সব নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘাঘট নদীর দুই পাশের বাঁধ রয়েছে। সেগুলো মেরামতের কাজ চলছে। পানি বিপৎসীমার অতিক্রম করলেও এ মুহূর্তে বাঁধ ভাঙার কোনো সম্ভাবনা নেই।
নদী বন্দর/এসএফ