ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশে এখন তাপপ্রবাহ চলছে। শুরু হয়েছে দাবানলের প্রকোপ। গ্রিসে দাবানলের অবস্থা বেশ খারাপ। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ডয়েচে ভেলে।
গরমের শুরুতেই তাপমাত্রা বাড়ছে চড়চড় করে। জার্মানির পূবদিকের এলাকাগুলোতে তাপমাত্রা পৌঁছেছে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। সেখানে শুরু হয়েছে দাবানলের তাণ্ডব।
দাবানলের জন্য ২০টি গ্রামের বাসিন্দাকে এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বলা হয়েছে। কারণ, শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া দাবানল ক্রমশ তাদের গ্রামের কাছে এসে পড়েছে। কিছু গ্রামের বাসিন্দাকে কয়েক ঘণ্টার নোটিসে বাড়ি ছাড়তে বলা হয়েছে।
আগুন নেভানোর জন্য সামরিক হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। কারণ, আগুন তার একেবারে পাশে এসে গেছে। প্রচণ্ড গরম ও বৃষ্টি কম হওয়ায় সাম্প্রতিক সময়ে জার্মানিতে দাবানল ছড়িয়েছে।
গ্রিসের দ্বিতীয় বৃহত্তম দ্বীপে রবিবারও দাবানল দাউদাউ করে জ্বলছে। কর্তৃপক্ষ নির্দেশ দিয়েছে, বাড়ির ৮০০ মিটারের মধ্যে আগুন এলে সঙ্গে সঙ্গে বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে হবে।
দাবানলের মোকাবিলা করছে ৭০টি দমকল, নয়টি বিমান ও চারটি হেলিকপ্টার। গত গ্রীষ্মেও এখানে আগুন লেগে এক তৃতীয়াংশ বনভূমি পুড়ে গেছিল।
স্পেনের বেশ কিছু এলাকায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে। সাধারণত অগাস্টে এই তাপমাত্রা থাকে। তার উপর বৃষ্টি খুব কম হচ্ছে। এখানেও শুরু হয়েছে দাবানলের তাণ্ডব।
৬৫০ জন কর্মী আগুনের মোকাবিলা করছেন। তারা আগুনকে বেশি ছড়াতে দেননি।
বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, জলবায়ুর পরিবর্তনের জন্যই এই অবস্থা। জেনিভার বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার মুখপাত্র নুলিস বলেছেন, আজ যা দেখা যাচ্ছে, সেটা দেখে ভবিষ্যতে কী ঘটতে চলেছে, তা অনুমান করা যায়। গরমের মাসগুলিতে তাপমাত্রা আরও বাড়বে। শিল্পায়নের আগে যে তাপমাত্রা ছিল, তার থেকে তাপমাত্রা দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়বে।
নদী বন্দর/এসএফ