নাগেশ্বরীতে কমতে শুরু করেছে সব নদ-নদীর পানি। উন্নতি হচ্ছে বন্যা পরিস্থিতির। তবে ঘর-বাড়ি থেকে পানি নামতে শুরু করলেও এখনো ভাসেনি রাস্তা-ঘাট ও ফসলি জমি।
প্রথম দফা বন্যার রেশ না কাটতেই গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হঠাৎ করেই বাড়তে থাকে নদ-নদীর পানি। তা আগের বন্যায় ভেঙে যাওয়া বাঁধের অংশ দিয়ে জনপদে প্রবেশ করে। বুধবার দিনভর পানি বৃদ্ধিতে সদ্য বন্যার ক্ষত নিয়ে জেগে ওঠা ওই জনপদ আবারও ঢেকে যায় দ্বিতীয়বারের মতো বন্যার পানিতে। ফের রাস্তা-ঘাট তলিয়ে যায়, ডুবে যায় ফসলি জমি। বাড়ি-ঘরে পানি ওঠে। অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে মানুষ।
বুধবার মধ্য রাত থেকে ফের কমতে থাকে পানি। তবে তা ছিল অত্যন্ত ধীর গতির। বৃহস্পতিবার দুপুরের পর গতি বেড়ে আজ শুক্রবার রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অনেক পানি কমেছে। এতে অনেক জায়গায় জেগেছে ঘর-বাড়ি। কিন্তু জাগেনি রাস্তা-ঘাট ও ফসলি জমি। চারপাশে এখনো বিস্তীর্ণ জলরাশি ঢেউ খেলছে। এখনো এবাড়ি-ওবাড়ি যেতে হচ্ছে তাদের নৌকা বা কলাগাছের ভেলায়।
এদিকে, দুই দফা বন্যায় বেশ কিছুদিন পানিবন্দি থাকায় ক্রমে ফুরিয়ে আসছে তাদের খাবারের মজুদ। সরকারি-বেসরকারিভাবে কিছু ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।
এছাড়া পানি নেমে যাওয়ার পর পচা-দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন সর্দি-জ্বর-কাশি, ডায়রিয়া, আমাশয় রোগে। পানিতে ভিজে শুকনো খর নষ্ট ও তৃণভূমি দীর্ঘ দিন তলিয়ে থাকায় খাদ্য গৃহপালিত গরু-ছাগল নিয়েও বিপাকে আছেন বানভাসিরা। বন্যার উন্নতিতে ধীরে ধীরে সে সমস্যা আরও প্রকট হচ্ছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোফাখখারুল ইসলাম জানান, বানভাসিদের মাঝে সরকারি ত্রাণ সহায়তা অব্যাহত আছে। এ পর্যন্ত ৭৪ মেট্রিক টন জিআর চাউল, নগদ জিআরের সাড়ে ৪ লাখ টাকা ও শিশু খাদ্যের জন্য ৫ লাখ বরাদ্দ পাওয়া গেছে। সেগুলো বিতরণ করা হচ্ছে। গো-খাদ্যের জন্য ৩ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে খুব শিগগিরই তা বিতরণ করা হবে।
নদী বন্দর/এসএফ