ঈদযাত্রায় বিভিন্ন সড়কে অতিরিক্ত বাসভাড়া আদায় বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছে নৌ সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটি। কমিটির পক্ষ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের পাশাপাশি মহাসড়কসহ সকল আন্তজেলা সড়কে তিন চাকার যানবাহন চলাচল বন্ধে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম জোরদার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাগুলোকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার সংগঠনের সভাপতি হাজী মোহাম্মদ শহীদ মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে এক বিবৃতিতে এই আহ্বান জানান।
বিবৃতিতে তারা বলেছেন, দূরপাল্লার বিভিন্ন সড়কে যাত্রীদের কাছ থেকে ২০০ শতাংশেরও বেশি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।
গাজীপুরের চন্দ্রা মোড় থেকে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া পর্যন্ত যে বাসের ভাড়া ২৫০ টাকা, সেই বাসের ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ৫৫০ টাকা; যা দ্বিগুণেরও বেশি। একই স্থান থেকে বগুড়ার ভাড়া ৪০০ টাকার স্থলে নেওয়া হচ্ছে ৮০০ টাকা থেকে এক হাজার টাকা পর্যন্ত। চন্দ্রা মোড় থেকে নওগাঁর পত্নিতলা পর্যন্ত যে বাসের ভাড়া ৩৫০ টাকা ছিল, সেই বাসের ভাড়া এখন ৭০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে।
জাতীয় কমিটি বলেছে, গলাকাটা ভাড়া শুধু উত্তরবঙ্গগামী বাসেই নয়; ঢাকার গাবতলী থেকে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া পর্যন্ত যেসব বাসের ভাড়া ছিল ১৬৫ টাকা, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সেসব বাসের ভাড়া ৩০০ টাকা আদায় করা হচ্ছে। পদ্মা সেতু হয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলগামী এবং রাজধানী থেকে টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, সিলেট, ফেনী, কুমিল্লা ও চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন সড়কে অনেক বাসের ভাড়াও জনপ্রতি ২০০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত বেশি নেওয়া হচ্ছে।
এতে আরো বলা হয়, সকল সরকারি-বেসরকারি অফিস এবং পোশাক কারখানাসহ অন্যান্য শিল্প-কারখানা ছুটি হওয়ায় শুক্রবার যাত্রীর চাপ তিন-চারগুণ বেড়ে যাবে। এই সুযোগে পরিবহনগুলো আরো বেশি ভাড়া আদায় করবে। তাই বাড়তি ভাড়া আদায় বন্ধে এখনই প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
নিরাপদ ও বিড়ম্বনামুক্ত ঈদ যাতায়াতের ওপর গুরুত্বারোপ করে জাতীয় কমিটির বিবৃতিতে বলা হয়, মহাসড়ক ও দূরপাল্লার আন্তজেলা সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকসাসহ তিনচাকার সব ধরনের গাড়ি এবং নসিমন, করিমন, ভটভটি ও আলম সাধুর মতো স্থানীয়ভাবে তৈরি ও পুরনো ইঞ্জিনচালিত ক্ষুদ্র যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ হলেও সারা দেশেই এ ধরনের বাহন চলছে।
এতে একদিকে মহাসড়কসহ দূরপাল্লার সড়কগুলোতে বাসসহ অন্যান্য যাত্রীবাহী গাড়ির গতি কমিয়ে দিয়ে যানজটের সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, অন্যদিকে দুর্ঘটনার ঝুঁকিও বাড়ছে। তাই জরুরি ভিত্তিতে দুর্ঘটনাপ্রবণ এসব গাড়ি চলাচল বন্ধ করতে হবে।
নদী বন্দর/এসএফ