এবার চামড়ার দাম নিয়ে তেমন কোনো হা-হুতাশও ছিল না। তবে চামড়া সংরক্ষণের প্রধান উপকরণ লবণের দাম বৃদ্ধি, শ্রমিক সংকট ও মজুরি বাড়ায় খরচ বেশি পড়েছে।
ট্যানারি মালিকদের কাছে জেলার চামড়া ব্যবসায়ীদের গত ১০ বছরে প্রায় ১০ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে। বছরের পর বছর ধরে এ পরিমাণ টাকা বকেয়া পড়েছে চামড়ার সুদিন ফিরিয়ে আনতে সরকারিভাবে চামড়া সংগ্রহ ও সরাসরি চামড়া ব্যবসায়ীদের ঋণ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
চামড়া ব্যবসায়ী আব্দুল জলিল বলেন, এ বছর প্রায় ৬০ হাজার টাকার ছাগলের চামড়া কেনা হয়েছে। প্রতিটি চামড়ার দাম ২০-৬০ টাকার মধ্যে কিনেছি কারণ ছাগলের চামড়া অল্প টাকায় বেশি পরিমাণে কেনা যায়। আর গরুর চামড়ার দাম ও পুঁজি দুটোই বেশি লাগে। ২০ টাকা দিয়ে একটি চামড়া কিনে এর সঙ্গে ১ কেজি লবণ (১৬ টাকা), শ্রমিকের মজুরি ১১ টাকা, লোড-আনলোড ৩ টাকা এবং যাচনধারী (যারা বিক্রি করে দিবেন) ১ টাকা। চামড়ার দামসহ প্রায় ৫০-৫৫ টাকা খরচ পড়ে। ঢাকায় যা সরকারি মূল্যে বিক্রি হবে প্রায় ১১০-১২০ টাকায়।
নওগাঁর চামড়া ব্যবসায়ী সাদেক হোসেন শুভ বলেন, গত বছর থেকে এ বছর চামড়ার বাজার ভালো আছে। প্রকারভেদে চামড়া ২৫০-৭০০ টাকা পর্যন্ত কেনা হয়েছে। শুধু কোরবানির সময় সরকার চামড়া ব্যবসায়িদের খোঁজখবর নেয়। বছরের অন্য সময় আমাদের কোনো খোঁজ নেওয়া হয় না। ট্যানারি মালিকদের কাছে গত কয়েক বছরে আমার প্রায় ২০ লাখ টাকা পাওনা হয়েছে। কিন্তু আমাদের বকেয়া টাকা দেওয়া হচ্ছে না। প্রতি বছরই ধার-দেনা করে চামড়া কিনতে হয়।
চামড়া ব্যবসায়ী রাশেদুল ইসলাম ও সাইফুল ইসলাম বলেন, গত বছর ৫০ কেজি লবণের বস্তার দাম ছিল ৫০০-৫১০ টাকা। এ বছর তা বেড়ে হয়েছে ৮০০ টাকা বস্তা। এছাড়া শ্রমিকের মজুরি বেড়েছে। একরাত কাজ করিয়ে দিতে হয়েছে ২ হাজার টাকা শ্রমিক সংকট হওয়ায় মজুরি বেশি দিয়ে কাজ করে নিতে হয়েছে। তবে এ বছর চামড়ার দাম ভালো পাবেন বলে আশাবাদী তারা।
নদী বন্দর/এসএফ