চীনের ছোড়া ৫টি ক্ষেপণাস্ত্র জাপানের সমুদ্রসীমার একচেটিয়া অর্থনৈতিক অঞ্চলে (এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোন-ইইজেড) আঘাত হেনেছে বলে অভিযোগ করেছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী নোবুও কিশি। তিনি এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) তাইওয়ান প্রণালীতে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে চীন। মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের দুদিন পর সামরিক মহড়ার অংশ হিসেবে গুলিসহ এসব ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে চীন। চীনের বৃহৎ এই মহড়া এই অঞ্চলে উত্তেজনাও বৃদ্ধি করেছে।
তবে চীনের ছোড়া ৫টি মিসাইল তাদের ইইজেডে আঘাত হেনেছে বলে প্রতিরক্ষামন্ত্রী নোবুও কিশি অভিযোগ করেছেন।
তিনি বলেন, প্রথমবারের মতো চীনের মিসাইল আমাদের অর্থনৈতিক অঞ্চলে আঘাত হেনেছে। কূটনৈতিকভাবে আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছি।
তিনি বলেন, চীনের পাঁচটি মিসাইলই আমাদের ইইজেডে পড়েছে, যা জাপান উপকূলের ২০০ নটিক্যাল মাইলের (৩৭০ কিলোমিটার) মধ্যে। মিসাইলগুলো ওকিনাওয়া অঞ্চলের হাতেরুমা দ্বীপের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের পানিতে পড়েছে।
জাপানের জাতীয় ও জনগণের নিরাপত্তার জন্য এটি বড় উদ্বেগের বিষয় বলেও দাবি করেন মন্ত্রী।
এদিকে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, উত্তরপূর্ব ও দক্ষিণপূর্ব সাগরে বেশ কয়েকটি ডংফেং ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে।
তাইওয়ানের মাতসু দ্বীপের কাছেও দুটি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে চীন। তাইওয়ানের কর্মকর্তারা বলছেন, চীনের এ ধরনের মহড়া জাতিসংঘের নিয়ম লঙ্ঘন করে। একে নিজেদের আঞ্চলিক সীমায় আক্রমণ এবং আকাশসীমা ও জলসীমায় নৌ চলাচলের ক্ষেত্রে সরাসরি চ্যালেঞ্জ হিসেবেই দেখছে তাইওয়ান।
তাইওয়ানে চীন যে সামরিক মহড়া শুরু করেছে তা নজিরবিহীন। নৌ ও আকাশ পথে দেশটি মহড়া চালাচ্ছে। মার্কিন কংগ্রেসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফর শেষেই চীন এমন পদক্ষেপ নেয়। মূলত চীনের চরম আপত্তি থাকা স্বত্ত্বেও মার্কিন এই শীর্ষ রাজনীতিবিদ মঙ্গলবার (২ আগস্ট) তাইওয়ান সফরে যাওয়ায় ক্ষেপে গেছে বেইজিং।
এর আগে ১৯৯৬ সালে শেষবার তাইওয়ানের আশপাশে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছিল বেইজিং।
সূত্র: দি জাপান টাইমস ও রয়টার্স
নদী বন্দর/এসএস