ভারত থেকে আমদানির পরও দিনাজপুরের হিলিতে বেড়েছে সব ধরনের চালের দাম। কয়েক দিনের ব্যবধানে প্রতিকেজি চালের দাম বেড়েছে ৩ থেকে ৪ টাকা। এতে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষরা।
রোববার (১৪ আগস্ট) সকালে হিলি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ২৮ জাতের চাল কেজিতে ৪ টাকা বেড়ে ৪৮ টাকা, ৫২ টাকার মিনিকেট ৪ টাকা বেড়ে ৬৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে স্বর্ণা-৫ জাতের চালও কেজিতে ২ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়।
ভ্যানচালক আবেদ আলী বলেন, ‘আমার সংসারে ছেলে মেয়েসহ পাঁচজন খানেওয়ালা। প্রতিদিন গড়ে তিন কেজি চাল প্রয়োজন হয়। তরিতরকারি নিয়ে আমার সংসারে দিন ৫০০ টাকার খরচ প্রয়োজন। ভ্যান চালিয়ে দিনে ৪০০-৫০০ টাকা কামাই হয়। এতে কোনোমতে সংসার চললেও মাস শেষে দেনার মধ্যে ঢুকে যাই। এভাবে ব্যয় বাড়ে কিন্তু আমাদের আয় বাড়ে না।’
চাল ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন বলেন, ‘ভারত থেকে যে চাল আসছে সেই চালের বিপরীতে ডলারের মূল্যে শুল্ক দিয়ে আমদানিতে প্রায় ৫৯ টাকা কেজি পড়ে যাচ্ছে। আর বাংলাদেশি চালের দাম ৪৭ থেকে ৪৯ টাকা। বেশি মূল্যের চাল আমদানি হওয়ায় ব্যবসায়ীরা অনেক লোকসান গুনছেন। ফলে দামে প্রভাব পড়ছে।’
হিলি বাজারের আড়তদার আসলাম হোসেন বলেন, ‘ধানের দাম বাড়ার অজুহাতে মিল মালিকরা চালের দাম বেশি নিচ্ছেন। তাই বেশি দামে চাল কিনে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা মিলারদের কাছ থেকে বেশি দামে চাল কিনে আবার গ্রাহকের কাছে বেশি দামে বিক্রি করি। চালের দাম বাড়া কমার বিষয়ে আমাদের হাত নেই।’
নদী বন্দর/এসএইচ