কক্সবাজারের নাজিরারটেক মোহনায় ট্রলারডুবির ঘটনায় আরও পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড।
রোববার (২১ আগস্ট) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ওই মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়। এর আগে শনিবার (২০ আগস্ট) সন্ধ্যায় দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল।
জানা গেছে, বঙ্গোপসাগরের মহেশখালীর সোনাদিয়া চ্যানেলে আজ রোববার সকাল সোয়া ১০টার দিকে তিনজনের মরদেহ ভাসতে দেখে জেলেরা। এ সময় স্বজনরা কোস্টগার্ডের সহায়তায় মরদেহগুলো উদ্ধার করে। পরে দুপুরের দিকে আরও দুজন জেলের মরদেহ ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন, আনোয়ার হোসেন খুরুশকুল পুর্ব হামজার ডেইল পাড়ার নাজির হোসেনের ছেলে। নুরুল ইসলাম একই এলাকার ছৈয়দ নুরের ছেলে। হোসেন আহমদ, আজিজুল হক ও মোহাম্মদ আবছান। হোসেন ও আবছারের বাড়ি সদর উপজেলার খুরুশকুলেরর পূর্ব হামজার ডেইল এলাকায় আর আজিজুলের বাড়ি একই ইউনিয়নের মামুন পাড়ায়।
দুর্ঘটনা কবলিত ‘এফবি মায়ের দোয়া’ নামের ফিশিং ট্রলারের মালিক জাগের হোসেন বহদ্দার বলেন, বঙ্গোপসাগরে ট্রলার ডুবির ঘটনায় এ নিয়ে মোট সাতজনের মরদেহ উদ্ধার করা হলো। তবে আরও একজন নিখোঁজ রয়েছে।
কোস্টগার্ড পূর্ব জোনের কক্সবাজার স্টেশনের কন্টিনজেন্ট কমান্ডার এম হামিদুল ইসলাম জানান, গত শুক্রবার বিকেলে নাজিরারটেক চ্যানেলে ডুবে যায় এফবি মায়ের দোয়া নামের একটি ফিশিং ট্রলার। ট্রলারের ১৯ জেলের মধ্যে আটজনকে জীবিত উদ্ধার করে কোস্টগার্ড। অন্য ট্রলারে তীরে ফেরেন আরও তিনজন।
তিনি আরও জানান, নিখোঁজ আটজনের মধ্যে গত শনিবার সন্ধ্যায় তৈয়ব ও সাইফুল নামে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বাকি ছয়জনের মধ্যে আজ সকালে তিনজনের মরদেহ উদ্ধারের পর দুপুরে আরও দুজনের মরদে উদ্ধার হয়েছে। এ পর্যন্ত সাত জেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
নদী বন্দর/এসএইচ