নিম্নচাপের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরায় থেমে থেমে হালকা ও ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। টানা বৃষ্টিপাতের ফলে কাজে বের হতে পারেননি শ্রমজীবী মানুষ। শহরের নিম্নাঞ্চলে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। উপকূলের নদ-নদীতে স্বাভাবিকে চেয়ে ২-৩ ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে হুমকির মুখে রয়েছে উপকূল রক্ষা বেড়িবাঁধ।
স্থানীয়রা জানান, স্বেচ্ছাশ্রমে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বাঁধ সংস্কার করছেন তারা। গতকাল রাতে জোয়ারে উপকূলের প্রতাপনগর ও গাবুরা ইউনিয়নের কয়েকটি এলাকায় পানি প্রবেশ করেছে। সোমবার দুপুর ও রাতের জোয়ারে নদীর পানি বাড়লে বাঁধ ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
পনি উন্নয়ন বোর্ড সাতক্ষীরার নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল খায়ের জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় খোলপেটুয়া ও কপোতাক্ষ নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমার ২২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। উপকূলের দুই উপজেলায় বেড়িবাঁধের ৩০ পয়েন্ট ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় পর্যাপ্ত জিও ব্যাগ মজুদ রাখা হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি রাখা হয়েছে।
জেলা কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, চলতি মৌসুমে জেলায় ৮৯ হাজার হেক্টর জমিতে আমন আবাদ হয়েছে। দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় এসব জমিতে পানির প্রয়োজন। তবে বৃষ্টিপাত দীর্ঘস্থায়ী হলে চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. মো. জামাল উদ্দিন জানান, বৃষ্টি না হওয়ায় মাছের ঘেরে পানির সংকট ছিল। অনেকে মেশিন দিয়ে ঘেরে পানি দিয়েছেন। তবে দুই দিনের বৃষ্টিতে ঘেরে পানি ভরে গেছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে মাছের ঘের প্লাবিত হতে পারে। সাতক্ষীরায় মাছের ঘের রয়েছে ৬৬ হাজার, আয়তনে ১০ লাখ ৭২ হাজার বিঘা। আর মাছ চাষি প্রায় ৮০ হাজার।
নদী বন্দর/এসএইচ