রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইস্যুতে ১৯ জানুয়ারি ঢাকায় পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে বসবে বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও চীন। রোহিঙ্গাদের পরিচয় যাচাই-বাছাইয়ে মিয়ানমারের দীর্ঘসূত্রতা তুলে ধরে আলোচনার বিষয়ে আশা প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
বাংলাদেশ সীমান্তে রোহিঙ্গাদের ঢল নামে ২০১৭ সালের আগস্টে। নিজ দেশ মিয়ানমারে জাতিগত নিধন ও অমানবিক নির্যাতনের মুখে আশ্রয়ের প্রত্যাশায় ছুটে আসেন তারা।
ওই বছরের ২৩ নভেম্বর রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে প্রত্যাবাসন চুক্তি হয়। যাচাই-বাছাইয়ের জন্য মোট ছয় দফায় মিয়ানমারকে এ পর্যন্ত ৮ লাখ ৩০ হাজার রোহিঙ্গার তালিকা পাঠিয়েছে বাংলাদেশ। সম্প্রতি পাঠানো হয়েছে ২ লাখ ৩০ হাজার রোহিঙ্গার তালিকা।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে বুধবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন জানান, নানা কারণে বারবার তারিখ পেছালেও চলতি মাসের ১৯ জানুয়ারি ঢাকায় বাংলাদেশ-মিয়ানমার-চীন ত্রিপক্ষীয় বৈঠক নিশ্চিত হয়েছে। এ পর্যন্ত ৪২ হাজার রোহিঙ্গার পরিচয় মিয়ানমার যাচাই-বাছাই করেছে।
প্রত্যাবাসন চুক্তি সইয়ের ৩ বছরের বেশি সময় পেরোলেও কোনো রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নেয়নি মিয়ানমার।
নদী বন্দর / জিকে