সাগর নদী আর সবুজ বনঘেরা মনপুরায় পর্যটকদের জন্য নতুন আকষর্ণীয় স্থান দখিনা হাওয়া সি-বিচ। ম্যানগ্রোভ বাগান পর্যটকদের কাছে যেমন আকর্ষণীয় তেমনি মুগ্ধ করে বনের মধ্যে চিত্রা হরিণের ছুটে চলা। মেঘনার বুকে অতিথি পাখির জলকেলি আর দিনের প্রথমে পূর্ব আকাশে সূর্যের হাসি। দিনভর আকাশে লাল আভা ছড়াতে ছড়াতে পশ্চিম আকাশে মুখ লুকানোর দৃশ্য। তাই শীতের শুরু থেকেই দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন প্রকৃতিপ্রেমীরা। পর্যটকদের যাতায়াত আর আবাসিক সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন স্থানীয় সংসদ সদস্য।
দলবেঁধে গান আর হৈ-হুল্লুড় করে আনন্দ-উল্লাসে জেলা সদর থেকে ঘুরতে আসা বন্ধুমহলের। বিশাল জলরাশি আর তিন দিকে সবুজ বাগানে ঘিরে রাখা দখিনা হাওয়া সি-বিচটি যেন ইটপাথরের শহুরে বাসিন্দাদের জীবনে এনেছে আনন্দের ঢেউ। সাইক্লিং আর খেলাধুলায় সময় কাটাচ্ছেন তরুণরা। কেউ নিজেকে ক্যামেরায় ফ্রেমবন্দি করছেন। ঘুরছেন মেঘনায় নৌকা আর স্পিডবোটে অনেকে।
মাত্র কয়েক মাস আগে জেগে ওঠা বিচটিতে পর্যটকদের জন্য করা হয়েছে রেস্টিংবেঞ্চ, ছাতা, গোলঘরসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা, যা নিশ্চিতে কাজ করছে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।
দখিনা হাওয়া সি-বিচ উন্নয়ন কমিটির আহ্বায়ক ফারহান আক্তার সাথী পর্যটকের সংখ্যা বাড়ানো জন্য হোটেলের ব্যবস্থার কথা জানান।
সৌন্দর্য দেখে খুশি হলেও যাতায়াত ও আবাসন সংকটে পড়তে হচ্ছে পর্যটকদের। তাই সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর দাবি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরও।
ভোলার মনপুরার দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অলিউল্যাহ কাজল নদীভাঙন রোধে এখননি ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বানও জানান তিনি।
আর পর্যটকদের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতের পাশাপাশি পর্যায়ক্রমে উন্নয়নের কথা জানান ভোলা-০৪ আসনের সংসদ সদস্য আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব।
বছরে লক্ষাধিক পর্যটক মনপুরায় বেড়াতে আসেন। তবে এবার ডিসেম্বরের এক মাসেই ৫০ হাজার মানুষ ঘুরতে এসেছেন।
নদী বন্দর / জিকে