মাদারীপুরের কুনিয়া ইউনিয়নের হুগলী, ত্রিভাগদী ও রাজধরদী গ্রামের একটি খালে জনগণের পারাপারের জন্য রয়েছে ২৫টিরও বেশি বাঁশের সাঁকো। এছাড়া ইউনিয়নের অন্যান্য খালে আছে আরও প্রায় শতাধিক সাঁকো। এসব বাঁশের সাঁকোর অধিকাংশই ঝুঁকিপূর্ণ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাকো দিয়ে নিয়মিত যাতায়াত করে সব বয়সী মানুষ। সাঁকো পারাপারে ঝুঁকি থাকায় স্কুলগামী শিক্ষার্থী, বৃদ্ধ ও গর্ভবতী মায়েদের পারাপার নিয়ে আতঙ্কের মধ্যে থাকতে হয় সবাইকে। গর্ভবতী মায়েদের জরুরি হাসপাতালে নেওয়ার জন্য দীর্ঘ পথ ঘুরে সড়কে উঠতে হয়। অধিকাংশ খাল পারাপারের একমাত্র মাধ্যম বাঁশের সাঁকো হওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে হাজারো নারী-পুরুষ ও শিশুদের।
অনেক সময় মুসল্লিরা ঠিক সময় নামাজ পড়তে যেতে পারেন না। স্কুলগামী শিক্ষার্থীদেরও পড়তে হয় ভোগান্তিতে। শীতের শিশির আর বৃষ্টির পানিতে সাঁকোর বাঁশ ভিজে পিচ্ছিল হয়ে যাওয়া এ সব সাঁকো পারাপারে ঘটছে অহরহ দুর্ঘটনা।
শুধু কুনিয়া ইউনিয়নেই না এরকম জরাজীর্ণ বাঁশের সাঁকো আছে জেলার পাঁচটি উপজেলার অসংখ্য খালে। ফসল নিয়েও বাঁশের সাঁকো পারাপারে কৃষকদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। সাঁকো পারাপার হতে গিয়ে অনেকেই আহত হয়েছেন। আবার অনেকে বড় ধরনের দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন।
এ ব্যাপারে এলাকাবাসী বলেন, সরকারের কাছে দাবি যেন দ্রুত এই সাঁকোগুলো অপসরণ করে ব্রিজ করে দেন।
মাদারীপুর সদর উপজেলার কুনিয়া ইউনিয়নের হুগলী গ্রামের শিউলি বেগম বলেন, বাঁশের সাঁকো পারাপারে আমাদের অনেক কষ্ট হয়। ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকোগুলো দ্রুত অপসারণ করে ব্রিজ ও কালভার্ট করার দাবি জানাই।
ত্রিভাগদী গ্রামের আনোয়ার হোসেন বলেন, সাঁকো দিয়ে আমাদের এলাকার মানুষের যাতায়াতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। নামাজ পড়তে ও বাজারে যেতেও অসুবিধা হয়।
মাদারীপুর সদর উপজেলার কুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অমিত হাসান কবির বলেন, কুনিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় খালের উপর ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো আছে। যার কারণে আমার এলাকার মানুষের অনেক অসুবিধা হয়। তাই মাদারীপুরের-২ আসনের সংসদ সদস্য শাহজাহান খানের কাছে ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণের দাবি জানিয়েছি।
মাদারীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শিমুল কুমার সাহা বলেন, আমাদের পরিকল্পনা হয়েছে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার। আমাদের বিভিন্ন জায়গায় যে সাঁকোগুলো আছে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে সেগুলো রিপ্লেস করে প্রয়োজন অনুযায়ী ব্রিজ-কালভার্ট করা হবে।
নদী বন্দর/এসএইচ