প্রতি বছরের ন্যায় জামালপুরে ব্যাপকহারে সরিষার চাষাবাদ হয়েছে। সরিষার হলুদ ফুলে ছেয়ে গেছে বিস্তীর্ণ এলাকা। এরই মধ্যে লক্ষ্যমাত্রাও ছাড়িয়েছে। ক্ষেতের পর ক্ষেত সরিষা ফুলের এমন নয়নাভিরাম দৃশ্য দেখতে ক্ষেতে ছুটছেন দর্শনার্থীরা। অন্য ফসলের তুলনায় সার ও কীটনাশকের প্রয়োজন কম হওয়ায় চাষিরা ঝুঁকছেন সরিষা চাষের দিকে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, চলতি বছর ২৭,৩০০ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও আবাদ হয়েছে ৩২,৫০০ হেক্টর জমিতে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫,২০০ হেক্টর বেশি। এ পর্যন্ত মৌবক্স স্থাপন করা হয়েছে ৫,৯৪২টি। যা থেকে মধু আহরণ করা হয়েছে ২৩,৪৯৮ কেজি। গত কয়েকদিনের বিরূপ আবহাওয়া কাটিয়ে আরও ভালো ফলনের আশা করছে কৃষি বিভাগ।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, কয়েকদিনের বিরূপ আবহাওয়া তাদের ভাবিয়ে তুলেছিল। তবে সেই আশঙ্কা কাটিয়ে সরিষার বাম্পার ফলনের আশা করছেন তারা। তবে ফলন বেশি হলেও সার, বীজ ও কীটনাশকের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় চাষের খরচ বেশি হয়েছে। শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনূকূলে থাকলে ও ন্যায্য মূল্য পেলে আর্থিকভাবে লাভবান হবেন তারা।
স্থানীয় কৃষক আজহার, সুরুজ, স্বপন, করিমসহ অনেকে জানান, প্রতিবছর জেলার যমুনা-ব্রহ্মপুত্রসহ অন্যান্য নদ-নদী তীরবর্তী চরাঞ্চল ও জেলার সমতল কৃষি জমিতে সরিষা চাষ করা হয়। চলতি মৌসুমেও ব্যাপকহারে সরিষার আবাদ হয়েছে। সরিষা চাষে প্রতি একর জমিতে খরচ হয়েছে ১০-১২ হাজার টাকা। তাই ন্যায্য মূল্য না পেলে ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন তারা। ন্যায্য মূল্য পেলে ভবিষ্যতে সরিষা চাষে উদ্বুদ্ধ হবেন বলেও আশা করেন তারা।
জামালপুর কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জাকিয়া সুলতানা বলেন, ‘ভোজ্যতেল হিসেবে সয়াবিন তেলের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় বিকল্প হিসেবে সরিষা আবাদে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে কৃষকদের। এতে একদিকে যেমন আমদানি নির্ভরতা কমবে, অন্যদিকে কৃষকরা লাভবান হবে।
নদী বন্দর/এএন