২০১৯ সালের আগস্টে বাংলাদেশের হেড কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেন রাসেল ডোমিঙ্গো। কিন্তু দায়িত্ব নেয়ার পর তামিম ইকবালের নেতৃত্ব দেখার সুযোগ হয়নি দক্ষিণ আফ্রিকান এই কোচের।
তামিম ওয়ানডের পূর্ণকালীন অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পান গত বছরের মার্চে। কিন্তু জাতীয় দলকে একটি ম্যাচেও নেতৃত্ব দিতে পারেননি। মার্চে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজে অধিনায়ক ছিলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। ওই সিরিজের পরই করোনার কারণে খেলা বন্ধ হয়ে যায়।
এরপর বাংলাদেশ আর কোনো ওয়ানডে খেলেনি। করোনার পেটে গেছে পাকিস্তানের মাটিতে একটি ওয়ানডে এবং আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ।
ডোমিঙ্গো-তামিম জুটিকে তাই আর দেখা যায়নি। এবার সেই সুযোগ আসছে। আর মাত্র কয়েক ঘন্টা পরই (২০ জানুয়ারি) ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ খেলতে নামছে টাইগাররা, যে সিরিজে দলকে নেতৃত্ব দেবেন তামিম।
পূর্ণকালীন না হলেও তামিমের অবশ্য জাতীয় দলকে নেতৃত্ব দেয়ার অভিজ্ঞতা আছে। মাশরাফির অনুপস্থিতিতে ২০১৯ সালের জুলাইতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ওয়ানডের সিরিজে তিনি দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২০১৭ সালে মুশফিকুর রহীমের চোটের কারণে একটি টেস্টেও অধিনায়কত্ব করেছিলেন তামিম।
তামিমের অধিনায়কত্ব এবার সামনে থেকে দেখতে মুখিয়ে রয়েছেন ডোমিঙ্গো। টাইগার কোচ বলেন, ‘আমি দলের সঙ্গে যোগ দেয়ার পর এবারই তামিম প্রথম ওয়ানডে দলকে নেতৃত্ব দেবে। আমি জানি ২০১৯ সালে সে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিল। এখন পর্যন্ত তার সঙ্গে কাজ করা আমি খুব উপভোগ করছি।’
ডোমিঙ্গো মাঠের বাইরের তামিমকেও উচ্ছ্বসিত প্রশংসায় ভাসালেন। তিনি বলেন, ‘সে খুবই কেয়ারিং একটা ছেলে। সে চায় দলের সব খেলোয়াড় যাতে আত্মবিশ্বাসী থাকে, স্বস্তিবোধ করে। খেলোয়াড়দের মানসিক অবস্থাও যাতে ঠিক থাকে, সেই খেয়াল সে রাখে। আমি তার সঙ্গে কাজ করতে মুখিয়ে রয়েছি এবং যতটা সম্ভব তাকে সমর্থন দিতে চাই।’
ডোমিঙ্গো যোগ করেন, ‘তার মনটা ঠিক জায়গাতেই আছে। সঠিক লক্ষ্যকে সামনে রেখেই সে খেলছে। সে ভালো করতে চায়। নিজের নেতৃত্ব এবং পারফরম্যান্স পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণের সামর্থ্য আছে তার। সে এটা নিয়ে দারুণ সজাগ। অধিনায়কত্বটা যেন ভালোভাবে শুরু হয়, সেই প্রচেষ্টা তার আছে।’
নদী বন্দর / পিকে