সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বৃষ্টি ও উজানের পাহাড়ি ঢলে আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। জেলার অভ্যন্তরীণ নদ-নদীগুলোর পানিও সে সঙ্গে বাড়তে শুরু করেছে। ফলে বন্যার আশঙ্কায় দিন পার করছেন নদী তীরবর্তী চরাঞ্চলের মানুষেরা।
এদিকে, দ্রুত পানি বাড়ার কারণে জেলার সদর, চৌহালীর এনায়েতপুর ও শাহজাদপুর উপজেলায় যমুনা নদীতে তীব্র ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। শাহজাদপুর উপজেলার কৈজুরি ইউনিয়নের পাঁচিল গ্রামে দুইদিনে অন্তত ২৫টি বাড়িঘর ও অর্ধশত গাছপালা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। নদীতে বাড়িঘর হারিয়ে অসহায় মানুষজন অন্যত্র আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
শুক্রবার (২৩ জুন) বিকেলে পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, গত ২৪ ঘন্টায় সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা হার্ড পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি ৩৫ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার ৭০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অপরদিকে, কাজিপুরের মেঘাই ঘাট এলাকায় ৩৪ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার ১ দশমিক ২৯ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এ ছাড়াও অভ্যন্তরীণ করতোয়া নদীর পানি উল্লাপাড়া পয়েন্টে ৩৫ সেন্টিমিটার এবং বড়াল নদীর পানি শাহজাদপুরের বাঘাবাড়ি পয়েন্টে বেড়েছে ৬৪ সেন্টিমিটার।
পাঁচিল গ্রামের আব্দুল মমিন বলেন, দুই দিন আগেও আমাদের বাড়িঘর সব ছিল। আজ নদীতে সব হারিয়ে পথে বসেছি। নদীগর্ভে ঘর-বাড়ি বিলীন হওয়ায় কোথাও যাওয়ার মত অবস্থা নেই আমাদের। মাথা গোজার ঠাঁই হারিয়ে এখন ভাসমান মানুষে পরিণত হয়েছি আমরা।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী রনজিত কুমার সরকার বলেন, উজানের ঢল ও ভারী বৃষ্টির কারণে কয়েকদিন ধরেই যমুনার পানি বাড়ছে। এতে চরাঞ্চলের নিম্নভূমিগুলো প্লাবিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে অভ্যন্তরীণ নদ-নদীর পানিও বাড়তে শুরু করেছে। পানি আরও দুই-তিনদিন বাড়তে পারে।
নদী বন্দর/এসএস