ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনে এক লোকই ১০ বার করে ভোট দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় পার্টি (জাপা) চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের। তিনি বলেন, এ নির্বাচনে জনগণের সম্পৃক্ততা ছিল না। সরকার বলছে ১১ শতাংশ ভোট পড়েছে। বেসরকারিভাবে আমাদের খবর হলো, ৫-৬ শতাংশ লোকও হয়নি। হয়তো ৫ শতাংশ হতে পারে। বাকিগুলো তারা জোর করে ব্যালট করছে (সিল মেরেছে)।
রোববার (২৩ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর বনানীতে জাপা চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে এক যোগদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। এদিন টাঙ্গাইল জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য ইঞ্জিনিয়ার লিয়াকত আলীসহ একাধিক নেতাকর্মী জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন।
এসময় জিএম কাদের বলেন, জনগণ এ ভোটের সঙ্গে জড়িত ছিল না। এ ভোটে আস্থা রাখেনি। যেভাবে প্রার্থীদের মারা হয়েছে, এজেন্টদের বের করা হয়েছে, সেটা বিশ্ববাসীর কাছে উদাহরণ। সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে কী হবে, দেখেন, দেখে যান। এরপর কি সরকারি দলের বলার সুযোগ আছে, আমরা সংবিধান অনুযায়ী অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে পারবো?
সরকার বিভাজনের রাজনীতি করছে মন্তব্য করে জিএম কাদের বলেন, আর্টিফিশিয়ালি ভাগ করা হচ্ছে আওয়ামী লীগ বনাম নন আওয়ামী লীগ, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে-বিপক্ষে, স্বাধীনতার পক্ষে-বিপক্ষে। এরকম করে দেশকে ভাগ করা হচ্ছে, বিভাজন করা হচ্ছে। সারদেশের মানুষ একত্রিত থাকবে, এক পতাকা তলে থাকবে, সরকার তার নেতৃত্ব দেবে। সবাই সমান।
জিএম কাদের বলেন, সামনে একটা অমানিশার ঘোর অন্ধকার। সামনে কী হবে কেউ জানে না। কেউ জানতে পারছে না। সরকার কঠিন অবস্থা নিয়ে আছে। সংবিধানের অধীনে নির্বাচন করতে হবে। তারা এ অবস্থান থেকে সরবে না।
সরকারের অধীনে যে সুষ্ঠু নিরেপক্ষ নির্বাচন সম্ভব না সেটা ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনে দেশবাশী দেখেছে। সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে কী ধরনের নির্বাচন হবে সেটা দেশবাশী ও বিশ্ববাসী দেখেছে।
নদী বন্দর/এসএইচবি