আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে টার্গেট করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিএনপি মহাসচিব বলেছেন, ‘সরকার অবৈধভাবে তারেক রহমানের নামে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। তারেক রহমানের বিচক্ষণতা, জনপ্রিয়তা ও তার উত্থান সহ্য করতে পারছে না ক্ষমতাসীনরা।’
গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বুধবার সন্ধ্যা ৬ টায় সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, ‘এভাবে নির্যাতনের মানেটা পরিষ্কার- আমাদেরকে নির্বাচনের মাঠ থেকে সরানো। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেয়া, আসন্ন নির্বাচন থেকে সরিয়ে দেয়া- এসব করে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার পরিচয় দিচ্ছে এই সরকার। মামলা দেয়ার এই তামাশা এখন সব মহলে হাস্যকর।
‘আমাদের কর্মসূচি হলো এক দফা দাবি। এর মধ্যে আওয়ামী সরকারের পদত্যাগ, সংসদের বিলুপ্তি সবই থাকবে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘তারেক রহমানের বিরুদ্ধে এই মামলার রায় যে শেখ হাসিনার নির্দেশ মোতাবেক হয়েছে তার বড় প্রমাণ হলো আদালতে প্রায় ৪৯ লাখ মামলার জট থাকলেও আলোর গতিতে চলেছে এই মামলার কার্যক্রম।
‘রাত ৮/৯টা পর্যন্ত একতরফাভাবে সাজানো সাক্ষীকে দিয়ে শেখানো বুলি বলানো হয়েছে আদালতে। এক মাসে এই মামলাটির জন্য প্রতিদিন শুনানি করে ৪২ জন সাক্ষী দ্রুতগতিতে নিজেরা নিজেরা যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেছেন।’
তিনি বলেন, আমাদের আইনজীবীরা এ ধরনের অস্বাভাবিক বিচার কাজের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে গেলে তাদের ওপর পুলিশ ও সরকারদলীয় আইনজীবীরা একাধিকবার হামলা চালিয়েছে। তাদেরকে আদালত কক্ষ থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। গোটা দেশবাসী অবাক বিস্ময়ে হতবাক হয়ে প্রত্যক্ষ করেছে কিভাবে তামাশার বিচারের নামে ক্যামেরা ট্রায়াল চালানো হয়েছে।
‘আজকের (বুধবার) এই ফরমায়েশি রায় সরকারপ্রধানের হিংসা ও আক্রোশের বহিঃপ্রকাশ। দেশজুড়ে আন্দোলনের দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে। তারেক রহমানের নেতৃত্বে জনগণের মধ্যে যে জাগরণ সৃষ্টি হয়েছে সেটিকে বিভ্রান্ত করতে অবৈধ আওয়ামী সরকারের এটি একটি কূটচাল। এক দফার চলমান আন্দোলনকে নেতৃত্বশূন্য করতে আদালতের ঘাড়ে বন্দুক রেখে প্রতিহিংসা মেটানো হয়েছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘একইভাবে সম্পূর্ণ মিথ্যা মামলায় দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। বিনাশ ও সংকীর্ণতার পথ অবলম্বন করে তারা ন্যায়বিচারকে দেশান্তরিত করেছে। দেশের জনগণ বিচারের নামে এই প্রহসন, এই ফরমায়েশি রায় ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে।’
নদী বন্দর/এসএইচবি