বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির নেতারা জঙ্গিদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি জঙ্গি আটক হওয়ার পর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বললেন- আন্দোলনে মানুষের দৃষ্টি ভিন্নদিকে নেওয়ার জন্য নাকি জঙ্গি নাটক সাজানো হয়েছে। যেমন চেয়ারম্যান, তেমন মহাসচিব।’
সোমবার (১৪ আগস্ট) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় মন্ত্রী এ কথা বলেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহদাতবার্ষিকী উপলক্ষে ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাংবাদিক ফোরাম’ এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কয়েক বছর আগে যখন জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছিল, তখন খালেদা জিয়া বলেছিলেন- কিছু মানুষকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়, কিছুদিন আটক রাখা হয়, এরপর তাদের চুল-দাড়ি লম্বা হলে তাদের জঙ্গি আখ্যা দেওয়া হয়।
একইভাবে এখন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলছেন- মানুষের দৃষ্টি ভিন্নদিকে নিতে নাকি জঙ্গি নাটক সাজানো হচ্ছে। এসব ঘটনাতে প্রমাণিত হয় জঙ্গিদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হচ্ছেন মির্জা ফখরুল ও বিএনপির নেতারা।’
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘হ্যাঁ, আমরা এখনো জঙ্গি পুরোপুরি নির্মূল করতে পারিনি। তবে জঙ্গি দমন করেছি, করছি। আমরা জঙ্গি নির্মূল করতে পারতাম যদি বিএনপি জঙ্গিগোষ্ঠীকে পৃষ্ঠপোষকতা না করতো। জঙ্গিগোষ্ঠীকে যারা পৃষ্ঠপোষকতা করে তাদের কোনো বিদেশি শক্তি সমর্থন করে না।’
বিদেশিদের পেছনে ঘুরে বিএনপির কোনো লাভ হয়নি উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি লাখ লাখ ডলার খরচ করে লবিস্ট নিয়োগ করেছে। এতে তারা কিছু বিবৃতি আনতে পেরেছে বটে। তবে এখন তাদের কাছে স্পষ্ট হয়ে গেছে বিদেশিদের পেছনে ঘুরে কোনো লাভ হয়নি।’
হাছান মাহমুদ আরও বলেন, ‘বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি কেউ সমর্থন করে না। যে কারণে এখন তারা সুর পরিবর্তন করেছেন। তারা বলছেন- ভারত, আমেরিকা, যুক্তরাজ্য কী বললো, তাতে তাদের কিছুই যায় আসে না।’
প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, সাবেক সভাপতি ও দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল আলম প্রমুখ।
নদী বন্দর/এসএইচবি