পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত এসা ইউসুফ এসা আল দুহাইলান।
সোমবার (১৬ অক্টোবর) সচিবালয়ে মন্ত্রীর কার্যালয়ে তিনি এ সাক্ষাৎ করেন। এসময় তারা বাংলাদেশে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তিতে রূপান্তর, প্রযুক্তি হস্তান্তর, ন্যাপ বাস্তবায়নে সহায়তা এবং পরিবেশ সুরক্ষা নিয়ে আলোচনা করেন।
এসময় মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আবদুল্লাহ হারুন, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক) সঞ্জয় কুমার ভৌমিক এবং যুগ্মসচিব (পরিবেশ) মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ টেকসই উন্নয়নের পথে কম কার্বন-সবুজ উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ অব-গ্রিড এলাকায় ৬ মিলিয়নেরও বেশি সোলার হোম সিস্টেম স্থাপন করেছে। জনসংখ্যার ১২ শতাংশের জন্য পরিবেশবান্ধব পদ্ধতিতে উৎপাদিত বিদ্যুৎ নিশ্চিত করেছে। এখন বাংলাদেশ বড় আকারের সৌর প্রকল্পের ওপর জোর দিচ্ছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে ১০টি বড় আকারের সোলার পার্ক, ২৮টি সৌর মিনি-গ্রিড, ২৮৮১টি সৌর সেচ পাম্প, ১৯৫২টি নেট মিটারড রুফটপ সোলার সিস্টেম এবং ৮টি সৌরচালিত পানীয় ব্যবস্থা স্থাপন করেছে।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, সরকার দেশের ক্রমবর্ধমান দূষিত বায়ু ও পানি পরিশুদ্ধির লক্ষ্যে পরিবেশ দূষণকারী শিল্পগুলোকে অতিরিক্ত শুল্ক দিতে বাধ্য করার জন্য ‘পরিবেশ সুরক্ষা সারচার্জ’ আকারে একটি আমূল নতুন ‘সবুজ কর’ আরোপ করেছে। সরকার ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে একাধিক গাড়ির মালিকদের ওপর ‘কার্বন ট্যাক্স’ আরোপ করেছে যার লক্ষ্য কার্বন নিঃসরণ হ্রাস করা এবং দেশে পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবহার এবং বৈদ্যুতিক যানবাহনের প্রচার করা।
ব্যবসা-বাণিজ্য, সাংস্কৃতিক বিনিময়, শিক্ষা, পরিবেশ ও পর্যটনের মাধ্যমে ভবিষ্যতে বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরালো হবে বলে পরিবেশমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন।
নদী বন্দর/এসএইচবি