নাশকতা করে দুষ্কৃতিকারীরা নিজেদের যাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, গণমাধ্যমকর্মী বা সরকারি কর্মকর্তা বলে পালিয়ে যেতে না পারে সেদিকে সর্বস্তরের মানুষকে সতর্ক ও সচেতন থাকার জন্য অনুরোধ করেছে র্যাব।
সোমবার (১৩ নভেম্বর) বিকেলে এ বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
তিনি বলেন, বিভিন্ন সময়ে গ্রেপ্তার করা দুষ্কৃতিকারীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর জন্য দুষ্কৃতিকারীরা গণপরিবহন বা বিভিন্ন যানবাহনে অগ্নিসংযোগ ও নাশকতার ঘটনা সংগঠিত করছে। অগ্নিসংযোগের পর দুষ্কৃতিকারীরা নিজেদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য বা গণমাধ্যমকর্মী বা সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা হিসেবে মিথ্যা পরিচয় দিয়ে অগ্নিসংযোগ বা নাশকতার ঘটনা ঘটিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, বাস মালিক, পরিবহন শ্রমিকসহ দেশের সব স্তরের জনসাধারণকে এই বিষয়ে সতর্ক ও সচেতন থাকার জন্য অনুরোধ করছি। পাশাপাশি এ ধরনের ঘটনায় দুষ্কৃতিকারীদের আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে সোপর্দ করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে রাজনৈতিক দলসমূহের বিভিন্ন কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে কতিপয় দুষ্কৃতিকারী ও স্বার্থান্বেষী মহল হামলা ও নাশকতার মাধ্যমে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সমাবেশকে কেন্দ্র করে দুষ্কৃতিকারী ও সন্ত্রাসীরা প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুর, রাজধানীর কাকরাইল, পল্টন, ফকিরাপুল ও মতিঝিলসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে , গণপরিবহন, ব্যক্তিগত পরিবহন, সরকারি বিভিন্ন যানবাহনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, গণমাধ্যমকর্মীসহ সাধারণ মানুষের ওপর নৃশংস কায়দায় হামলা ও আক্রমণ চালায়।
এসব হামলায় ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ, গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ভিডিও ফুটেজ এবং সংশ্লিষ্ট তথ্য বিশ্লেষণ করে সহিংসতা ও নাশকতার ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করেছে র্যাব।
নদী বন্দর/এসএইচবি