বিরোধীদলের নেতা বেগম রওশন এরশাদের সঙ্গে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের বৈঠকের বিষয়ে অবহিত নন বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু।
রোববার (২৬ নভেম্বর) জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানীস্থ কার্যালয় মিলনায়তনে সাংবাদিকদের একথা জানান তিনি।
চুন্নু বলেন, এটা তাদের পারিবারিক বিষয়, তিনি একা গিয়েছেন। দলীয় কিছু হলে পার্টি মহাসচিব হিসেবে আমাকে যেতে হত। আমি আসলে ঐ বৈঠকের বিষয়ে জানিই না। রাজনৈতিক বিষয়ে কোনও আলোচনা হয়েছে কি না, তা আমি জানি না।
‘আমরা চাই বেগম রওশন এরশাদ যেন নির্বাচনে আসেন। আমরা তাকে সব ধরনের সাহায্য-সহযোগিতা করবো। আমাদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক বেগম রওশন এরশাদ, তার ছেলে সাদ এরশাদ এবং ডা. কে আর ইসলাম যদি নির্বাচন করেন আমরা মনোনয়ন ফরম দেব, তাদের স্বাগত জানাবো।’
তিনি বলেন, সংসদীয় দল আর পার্টি এক নয়। সংসদীয় দলের সদস্যদের মেয়াদ শেষ। পার্টির কাজ পার্টি করছে, এর সাথে সংসদীয় দলের কোনও সম্পর্ক নেই। প্রধান পৃষ্ঠপোষক আমাদের শ্রদ্ধার পাত্র, তিনি নির্বাচন করলে আমরা স্বাগত জানাই। আশা করছি, বাছাই শেষে আগামীকাল বিকেলে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করতে পারবো। কম-বেশি তিন শ’ আসনেই আমাদের মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছে।
আমরা আশা করছি, নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। নির্বাচন গ্রহণযোগ্য করার ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন কথা রাখবে। আশা করছি, নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার জন্য নির্বাচন কমিশনকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। দেশের মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে উন্মুখ হয়ে আছেন। নির্বাচনে যেন ভোটারদের মতামতের প্রতিফলন হয়- প্রত্যাশা দলটির মহাসচিবের।
যারা দলীয় মনোনয়ন ফরম নিয়েছে এবং তাদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ চলছে জানিয়ে চুন্নু বলেন, তাদের মধ্য থেকে কাকে কাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে তা মনোনয়ন বোর্ড সিদ্ধান্ত নেবেন। জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক কাঠামোয় কোনও বিভেদ নেই। জিএম কাদেরের নেতৃত্বের বাইরে কেউ নেই। জাতীয় পার্টি এখন যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি শক্তিশালী। জাতীয় পার্টি এখন অনেক বেশি ঐক্যবদ্ধ। দ্বিধাদ্বন্দ্বের অবকাশ নেই।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কো-চেয়ারম্যান অ্যাড. সালমা ইসলাম, মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাড. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, নাজমা আখতার, লিয়াকত হোসেন খোকা, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মনিরুল ইসলাম মিলন, হেনা খান পন্নি, খলিলুর রহমান খলিল, ভাইস চেয়ারম্যান দিদারুল কবির দিদার, মোবারক হোসেন দুলু, তারেক আহমেদ আদেল, জসীম উদ্দিন ভূঁইয়া, লুৎফুর রেজা খোকন, যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু, ফখরুল আহসান শাহজাদা, আব্দুল হামিদ ভাসানী, বেলাল হোসেন, আমির হোসেন ভূঁইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ ইফতেকার আহসান হাসান, মাখন সরকার, ইউসুফ আজগর, দপ্তর সম্পাদক সুলতান মাহমুদ, দপ্তর সম্পাদক-২ এমএ রাজ্জাক খান।
এদিকে, রোববার বেলা ১১টা থেকে চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ এবং ঢাকা বিভাগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হয়। মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি ও জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের সভাপতিত্বে মনোনয়ন বোর্ডের সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, কাজী ফিরোজ রশীদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, অ্যাড. সালমা ইসলাম, মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা (মেয়র), প্রেসিডিয়াম সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপু, অ্যাড. শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, ফখরুল ইমাম, ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, অ্যাড. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, সৈয়দ দিদার বখত, লিয়াকত হোসেন খোকা।
নদী বন্দর/এসএইচবি