জেল থেকে জামিনে মুক্ত হওয়া দাগী ও চিহ্নিত অপরাধীদের বিষয়ে নজরদারি করছে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থা। তাদের দ্বারা কোনো ধরনের অপরাধ সংগঠিত হওয়ার আশঙ্কা থাকলে আইনের আওতায় আনবে পুলিশ।
শনিবার দুপুর ১২টায় পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সদর দপ্তরের ডিআইজি (অপারেশন) আনোয়ার হোসেন।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন উপলক্ষে কোনো ধরনের নাশকতা বা অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সারা দেশে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে পুলিশ।’
গত ১৮ থেকে ২৯ ডিসেম্বর দেশে ১৪ স্থানে অগ্নিসংযোগের ঘটনা এবং ৫৪টি স্থানে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন ১২৫ জন। এসব ঘটনায় সারা দেশে ১১১০ জনকে আসামি করে ৮৯টি মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে ১৩২ জনকে।
ডিআইজি আনোয়ার বলেন, ‘নির্বাচন ঘিরে কোনো কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ কিনা সেটাও দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি নির্বাচন ঘিরে সব বিষয়েই নির্বাচন কমিশনকে আমরা জানাচ্ছি। যেসব থানা পুলিশ নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করছে তাদেরকে বদলি করা হচ্ছে। কোনো অপরাধ পেলে তাদের অপরাধ অনুযায়ী বিভাগীয় মামলা করে শাস্তির ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘জেল থেকে কোনো অপরাধী ছাড়া পেয়ে পুনরায় কোনো অপরাধে নিজেকে না জড়ালে তাকে আমরা গ্রেপ্তার করতে পারি না। তবে অনেক দাগী দোষি চিহ্নিত অপরাধী আছে যারা জেল থেকে ছাড়া পেয়ে নির্বাচনি মাঠে রয়েছে। তারা যেন নতুন কোনো অপরাধ সংগঠিত না করতে পারে সে বিষয়ে পুলিশ নজরদারি করছে। আর যদি কেউ কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়ায় তার প্রমাণ পেলেই আমরা তাকে গ্রেপ্তার করব।’
নাশকতা রোধে কতটি আইপি ক্যামেরা বসানো হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘রেলে নাশকতা রোধে আইপি ক্যামেরা বসানোর কথা ছিল। রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে নির্দিষ্ট স্থানে ক্যামেরা বসানোর কাজ চলমান রয়েছে।’
থার্টি ফার্স্ট নাইটে কোনো স্থানে নাশকতার শংকা আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ডিআইজি বলেন, ‘থার্টি ফার্স্ট নাইট ঘিরে পুলিশ নিরাপত্তা জোরদার করেছে।’
খোলা স্থানে কোনো অনুষ্ঠানের অনুমতি দেওয়া হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বিশেষ বিশেষ জায়গায় নিরাপত্তা জোরদার করেছে পুলিশ, ৩শ ফিটে কার রেসিং হয় সেখানে পুলিশ নজরদারি বাড়াবে।’
‘আপাতত দেশের কোথাও কোনো নাশকতার শংকা নেই’, বলেন ডিআইজি আনোয়ার হোসেন।
নদী বন্দর/এসএম