জলবায়ু পরিবর্তন দেশের জন্য অস্তিত্বের সংকট বলে উল্লেখ করেছেন বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন আমাদের জন্য অস্তিত্বের সংকট। এই পরিবর্তনে পানির অনেক প্রভাব রয়েছে। হিমালয়ের বরফ গলে যাচ্ছে, সমুদ্রপৃষ্ঠে পানির উচ্চতা বেড়ে যাচ্ছে। পানিতে লবণাক্ততা বা যারা স্থানচ্যুত হচ্ছে এসব ক্ষেত্রে কিন্ত পানির অনেক প্রভাব।
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) ঢাকায় দুদিনের আন্তর্জাতিক পানি সম্মেলনের উদ্বোধন শেষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মন্ত্রী। সম্মেলনের আয়োজন করে একশনএইড বাংলাদেশ।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, অস্তিত্ব সংকটে আমাদের যে অবস্থান, তখন স্বাভাবিকভাবেই পানির বিষয়টাকে মাথায় রাখতে হবে। টেকসই উন্নয়নে পানির যে মুখ্য ভূমিকা আছে তা আমাদের কারও অস্বীকার করার সুযোগ নেই। আমরা যতই বিষয়গুলো নিয়ে ভাবি, দেখি যে এর সঙ্গে একটা কানেকশন আছে। আমরা যদি নদী শাসনের কথা বলি, জলবায়ু পরিবর্তনের কথা বলি সবকিছুর সঙ্গে পানি জড়িত।
বায়ুদূষণ প্রতিরোধে ১০০ দিনের পরিকল্পনা নিয়ে মন্ত্রী বলেন, বায়ুদূষণ রোধে ১০০ দিনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এটি বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার।
তিনি বলেন, বিভিন্ন স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। নানা পদক্ষেপের কথা বলা হলেও দক্ষতা কতটা আছে তাও দেখতে হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, দেশের বায়ুদূষণের মাত্রা সবচেয়ে বেশি ট্রান্সবাউন্ডারি থেকে হচ্ছে। ৩৫ শতাংশ বায়ুদূষণ হয় এখান থেকে। রিজিওনাল ডাইমেনসন এখন বায়ুদূষণ হচ্ছে। এটা বৈশ্বিক সমস্যা। এর সমাধান একার পক্ষে সম্ভব নয়। সবাইকে সমন্বিতভাবে উদ্যোগ নিতে হবে।
টেকসই উন্নয়নে পানিকে গুরুত্ব দিয়ে মন্ত্রী জানান, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় পাঁচ বছর খুবই অল্প সময়। দেশের টেকসই উন্নয়ন করতে হলে পানি, লবণাক্ততা, জলবায়ু ও নদীকে আরও গুরুত্ব দিতে হবে। এর সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই পানির বিষয়টি আলোচনায় রাখতে হবে।
নদী বন্দর/এসএইচবি