পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, সারাদেশে আমরা একটি ডিজিটাল ম্যাপিং করছি। এটির মাধ্যমে কোনো জায়গায় জলাধার, নদী ও খাল রয়েছে সেটি আরও স্পষ্ট হবে। তখন আরও তদারকি জোরদার করতে পারব। এ ছাড়া দূষণ রোধে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে আমাদের বিভিন্ন পরিকল্পনা রয়েছে। শুধু সমস্যার কথা বলতে চাই না, আমরা সমাধানের দিকে যেতে চাই। রাতারাতি পরিবর্তন হবে না। তবে একটি নির্দিষ্ট পরিকল্পনার মাধ্যমে এগিয়ে গেলে বিষয়গুলো সমাধান হবে।
শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে ফেনী সার্কিট হাউসে পরিবেশ ও বন অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, অবৈধ ইটভাটাগুলোর বিরুদ্ধে পর্যায়ক্রমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রাথমিকভাবে পাঁচ শ ইটভাটা বন্ধ করে দেওয়া হবে। তবে অতীতে বিভিন্ন অভিযান পরিচালনা করে এ ধরনের ইটভাটা বন্ধ করা হলেও পরবর্তীতে আবার তারা কার্যক্রম শুরু করেছে। এবার যেন সেগুলো আর পুনরায় চালু হতে না পারে সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় সরকার ব্লক ইটে যেতে চায় উল্লেখ করে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, সরকার ধীরে ধীরে পুরোপুরি ব্লক ইটে যেতে চায়। এ জন্য সরকারি বিভিন্ন প্যাকেজ রয়েছে। ইটভাটা মালিকরা এ সুযোগগুলো নিতে পারে। ব্লকের অন্যতম সুবিধা হলো এখানে কৃষি মাটির ব্যবহার হবে না। এ ছাড়া এ প্রক্রিয়ায় বায়ুদূষণ রোধ করা সম্ভব। এজন্য যত দ্রুত ব্লকে যাওয়া যাবে সেটি আমাদের জন্য মঙ্গল হবে।
সভায় বন বিভাগের পরিচালক (ভূমি পরিমাপ) আনিস মাহমুদ, ফেনী জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দীন মোহাম্মদসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পরে মন্ত্রীর সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী এবং পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী। এ সময় ফেনীর বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নিয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন সাংসদ।
নদী বন্দর/এসএকে