নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার ঘোষগ্রাম-আন্ধারকোটা নামক স্থানে নওগাঁর ছোট যমুনা নদীর ওপর দিয়ে চলাচলের জন্য এলাকাবাসীর উদ্যোগে বাশের সাঁকো নির্মাণ করা হয়েছে। এতে রাণীনগর ও আত্রাই দুই উপজেলার মানুষের মাঝে যোগাযোগ বন্ধন তৈরি হয়েছে।
আত্রাই উপজেলার বিল বেষ্টিত কালিকাপুর ইউপির অবহেলিত জনপদ এবং রাণীনগর উপজেলার প্রায় তিন হাজার লোকের বসবাস। তবে সেখানে যোগাযোগের উন্নত কোনো ব্যবস্থা নেই।
জানা গেছে, রাণীনগর উপজেলার সদর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দক্ষিণে সীমান্তঘেঁষা ও আত্রাই উপজেলার সদর থেকে ১২ কিলোমিটার পশ্চিমে বুক চিরে বয়ে গেছে নওগাঁর ছোট যমুনা নদী। বন্যা ও অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগে বছরের বেশি সময় ধরে বন্যার পানি চারিদিকে ঘিরে থইথই করে। তখন পারিবারিক প্রয়োজনে যাতায়াতের একমাত্র ভরসা হয়ে দাঁড়ায় ভাড়ায় চালিত নৌকা। কিন্তু শুষ্ক মৌসুমের শুরুতেই বিলের পানি কমতে থাকায় পানি-কাদায় একাকার হওয়ায় পায়ে হেঁটেই উপজেলার আটগ্রাম, হরপুর, তারানগর, বাউল্লাপাড়া, ঝিয়াড়িগ্রাম, শলিয়া গ্রামসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষ প্রয়োজনের তাগিদে জেলা ও উপজেলা সদরে যেতে হয়। নওগাঁর ছোট যমুনা নদীর নাব্যতা সংকটের কারণে নৌকা চলাচল বন্ধ থাকা ঘোষগ্রাম-আন্ধার কোটা নামক স্থানে নদী পারাপারের জন্য একটি বাঁশের সাঁকোর উপরই ভরসা করতে হয়। এতে বড় ক্ষতির মুখে পড়তে হয় কৃষকদের। এখানে একটি ব্রিজ নির্মাণের এলাকাবাসীর।
আত্রাই উপজেলার আন্ধার কোটা গ্রামের সাহাদ আলী (৭০) মহিদুল ইসলাম (৪৫), কালিকাপুর গ্রামের রুহুল আমিন (৩৮) জানান, এখানে একটি ব্রিজ না থাকায় দুই পারের মানুষের চলাচলের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বিশেষ করে ইরি-বোরো মৌসুমে ধান কাটাসহ আনা নেওয়া খুব অসুবিধা হয়। তাই একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হলে সবাই উপকৃত হবে।
আত্রাই উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাজমুল হক নাদিম জানান, শলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ হইতে অন্ধার কোটা পর্যন্ত পাকা সড়ক এবং ছোট যমুনা নদীর উপরে একটি ব্রিজ নির্মাণের জন্য যাচাই বাচাই চলছে। ব্রিজটি নির্মাণ করা হলে আমার ইউনিয়ন বাসিসহ আশেপাশে বসবাসরত সর্বসাধারণের জীবন যাত্রার মান পাল্টে যাবে।
নদী বন্দর / পিকে