উন্নয়ন পরিকল্পনা পরিবেশবান্ধব ও ব্যয় সাশ্রয়ী করতে প্রকৌশলীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাশাপাশি দেশের উন্নয়নে প্রযুক্তিবিষয়ক গবেষণা বাড়াতেও তাগিদ দিয়েছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তৃণমূল থেকে উন্নয়নই আওয়ামী লীগ সরকারের মূল লক্ষ্য। তবে উন্নয়ন পরিকল্পনা হতে হবে পরিবেশবান্ধব ও ব্যয় সাশ্রয়ী।
শনিবার সকালে দেশের প্রাচীন পেশাজীবী প্রতিষ্ঠান ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের (আইইবি) ৬১তম কনভেনশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
এর আগে সকাল ১০টায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ প্রাঙ্গণে এই কভেনশনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
এবারের কনভেনশনের মূল প্রতিপাদ্য ‘ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ফর স্মার্ট বাংলাদেশ’। কনভেনশনের মূল আকর্ষণ ‘দ্য ইঞ্জিনিয়ার্স ফর ট্রান্সফরমিং টেকনোলজি ড্রাইভেন স্মার্ট বাংলাদেশ’ শীর্ষক জাতীয় সেমিনার।
সরকারপ্রধান বলেন, যথাযথ পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের কারণেই সরকার দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রকৌশলীদের আরও বেশি গবেষণার ওপর তাগিদ দেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, প্রকৌশলীদের কিন্তু গবেষণা করা দরকার। কৃষিখাতে আমাদের উৎপাদন বেড়েছে। গ্যাস, জ্বালানি এসব বিষয়ে গবেষণা বাড়াতে হবে।
তিনি আরও বলেন, পানি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন এসব বিষয়ে গবেষণা বাড়াতে হবে। হাইড্রোজেন বিদ্যুৎ কীভাবে উৎপাদন করা যায় সেটা গবেষণা করা দরকার। স্বল্প খরচে যন্ত্রপাতি নির্মাণ এসব বিষয়ে দৃষ্টি দিতে হবে। কীভাবে বিকল্প জ্বালানি উৎপাদন করতে পারি, যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও কীভাবে উন্নয়ন করতে পারি।
বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতা যেন না হয় সেভাবে পরিকল্পনা করতে বলেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, পানি যেন জমে না থাকে, যখনই যেই পরিকল্পনা করবেন, খেয়াল রাখবেন পানি যেন জমে না থাকে সেই ব্যবস্থা করা।
জলাধার নষ্ট করে এমন প্রকল্প না নিতে সবার প্রতি আহ্বান জানান সরকারপ্রধান। বলেন, এমন হয় যে একটা সুন্দর পুকুর, কিন্তু সেখানে একটা বিল্ডিং করার জন্য পরিকল্পনা নিয়ে আসেন।
বক্তব্যে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সভাপতি সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সাফল্য ও ব্যর্থতা বিশ্লেষণ করে এগিয়ে যাওয়ার কৌশল নির্ধারণ করতে প্রকৌশলীদের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
পাঁচ দিনব্যাপী আয়োজিত ৬১ তম কনভেনশনে সমাপনী অনুষ্ঠান, জাতীয় সেমিনারের উদ্বোধনী ও সমাপনী পর্ব, শহীদ প্রকৌশলী পরিবারের সংবর্ধনা, চারটি স্মৃতি বক্তৃতাসহ বিদেশি অতিথিদের সংবর্ধণা এবং বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হবে।
সোমবার দুপুর আড়ায়টায় জাতীয় সেমিনারের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। বিকাল সাড়ে তিনটায় কনভেনশনের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা প্রকৌশলী গোলাম মোহাম্মদ কাদের।
নদী বন্দর/এসএম