প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে ১০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন ভোটার উপস্থিতি হলেও তাতে আশাহত নন এমন মন্তব্য করে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, যে পরিমাণ ভোটার ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত হয়েছেন, সেটি একটি নির্বাচনের জন্য যথেষ্ট। তবে দলগতভাবে নির্বাচন হলে ভোটার উপস্থিতি সহজ হতো।
রোববার (১২ মে) সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিকের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এবারের প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে ১০ বছরের মধ্যে সব থেকে কম ভোটার উপস্থিতি হয়েছে। ভোটের প্রতি মানুষের আস্থাহীনতা সৃষ্টির কারণে এমনটি হয়েছে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে নানক বলেন, উপজেলা নির্বাচন একটি স্থানীয় সরকার নির্বাচন। এ স্থানীয় সরকার নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এ স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ভোটারের যে উপস্থিতি, আমরা কিন্তু এ ভোটের উপস্থিতিতে আশাহত নই। কারণ সার্বিক অবস্থার কারণে যে পরিমাণ ভোটার ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত হয়েছেন, সেটি একটি নির্বাচনের জন্য যথেষ্ট। তবে আমি বিশ্বাস করি আরও ভোটার উপস্থিতি সহজ হতো যদি দলগতভাবে নির্বাচনটি হতো।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এ সদস্য বলেন, এবারের নির্বাচনের একটি বিশেষ দিক হলো, এ বারের নির্বাচনে দলীয় কোনো প্রতীক দিয়ে নির্বাচন হয়নি। যদিও বিএনপির অনেক প্রার্থী এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন বেনামে। অন্যান্য দলের প্রার্থীরাও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন। সব মিলিয়ে দুই একটি ঘটনা ছাড়া প্রথম ধাপের নির্বাচন অত্যন্ত সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
আওয়ামী লীগের একটি সিদ্ধান্ত ছিল এমপি, মন্ত্রীর স্বজনরা নির্বাচনে অংশ নেবেন না। সাংবাদিকদের এমন আর এক প্রশ্নের উত্তরে নানক বলেন, দেখেন এমপি, মন্ত্রীর স্বজনরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না এমন কোনো সিদ্ধান্ত ছিল না। এখানে কিছুটা ভুল ধারণা কাজ করছে। পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি পরিষ্কার করেছেন।
তিনি বলেন, আমি পরিষ্কার করে বলতে চাই এমপি, মন্ত্রীর স্বজনরা নির্বাচন করতে পারবে না এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত রাজনীতিতে হবার নয়।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন কোনো নেতার সন্তান বা কোনো স্বজন, তার যদি রাজনীতির মধ্য দিয়ে উত্থান হয় এবং তার যোগ্যতা ও অবস্থান সৃষ্টি করতে পারে তাহলে তো সে অবশ্যই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে। কিন্তু রাজনৈতিক অঙ্গনে কোনো অবদান নেই বা অবস্থান ছিল না, উপস্থিতি ছিল না, হঠাৎ করে উড়ে এসে জুড়ে বসানো এই সম্পর্কে সতর্ক বার্তা ছিল। এভাবে যেন উড়ে এসে জুড়ে বসানো না হয়।
দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের বিনিয়োগকারীরা কীভাবে আরও বিনিয়োগ করতে উদ্বুদ্ধ হন সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তারা আমাদেরকে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কিছু সমস্যার কথা বলেছেন। এর মধ্যে কিছু সমস্যা তারা চিহ্নিত করেছেন। পাসপোর্ট, ভিসা সংক্রান্ত সমস্যা। কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স সমস্যা। এনবিআরের কিছু সমস্যার কথা তারা বলেছেন।
মন্ত্রী বলেন, আমরা বলেছি এ সংক্রান্ত বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে আমরা এ বিষয়টির সমাধান করার চেষ্টা করবো।
তিনি আরও বলেন, কোরিয়া পাট, বস্ত্র খাতে বিনিয়োগ করার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আমরা আশা করি কোরিয়া বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করেছে, বস্ত্র ও পাট খাতেও বিনিয়োগ করবে।
নদী বন্দর/এএম