পাপুয়া নিউ গিনির প্রত্যন্ত একটি গ্রামে গত শুক্রবারের ভূমিধসের ঘটনায় জীবিত সমাহিত হয়েছেন ২ হাজারেরও বেশি মানুষ। দেশটির সরকার জাতিসংঘকে এই তথ্য জানিয়েছে।
বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের খবরে বলা হয়েছে, পাপুয়া নিউ গিনির জাতীয় দুর্যোগ সংস্থা আজ সোমবার পোর্ট মোর্সবিতে জাতিসংঘের কার্যালয়কে একটি চিঠিতে জানিয়েছে, ভূমিধসের ঘটনায় আনুমানিক দুই হাজারের বেশি মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছে।
সেই চিঠির একটি অনুলিপি অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের হাতে এসেছে।
শুক্রবার ভোররাতে রাজধানী পোর্ট মোর্সবি থেকে প্রায় ৬০০ কিলোমিটার উত্তরের এনগা প্রদেশে ভূমিধস আঘাত হানে। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কাওকালাম নামের একটি গ্রাম।
কাওকালাম গ্রামের বাসিন্দা নিঙ্গা রোলে জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩ টায় এই ভূমিধস ঘটেছে। গভীর রাতে সবাই ঘুমিয়েছিলেন, তাই দুর্যোগের সময় অধিকাংশ মানুষই বাড়ি থেকে বের হতে পারেননি।
অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস জানিয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন ফুটেজ এবং ভিডিওতে ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞের পরিস্থিতি দেখা গেছে। ভূমিধসের পরপরই স্থানীয় বাসিন্দারা বড় বড় পাথর সরানোর চেষ্টা করেন। বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য গাছ উপড়ে গেছে এবং ভেঙে পড়া ভবনের ধ্বংসাবশেষের নিচে বহু মানুষ চাপা পড়েন।
এর আগে গতকাল রোববার পাপুয়া নিউ গিনিতে জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থার কর্মকর্তা সেরহান আক্তোপ্রাক জানিয়েছিলেন, প্রায় ১৫০টি ঘর মাটিচাপা পড়েছে… ধারণা করা হচ্ছে ৬৭০ জনেরও বেশি লোক নিহত হয়েছে।’
দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ দেশটির পাহাড়ি অঞ্চলে ভূমিধসে ৬৭০ জন নিহত হওয়ার সরকারি পরিসংখ্যান জাতিসংঘের অনুমানের প্রায় তিনগুণ। এখন পর্যন্ত মাত্র ছয়জনের দেহাবশেষ উদ্ধার করা হয়েছে।
জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা সোমবার এক বিবৃতিতে বলেছে, ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলটির দূরবর্তীতা ও যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ত্রাণ প্রচেষ্টাকে ধীর করে দিচ্ছে।
জাতিংসংঘের কার্যালয় আরও বলেছে, সরকারি কর্তৃপক্ষ ধ্বংসাবশেষ পরিষ্কার ও যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছে।
নদী বন্দর/এসএইচ