যত্রতত্র কোরবানি করে জায়গা নষ্ট না করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার (১৫ জুন) সকালে গণভবনে কৃষক লীগের আয়োজনে আষাঢ় মাসের প্রথম দিনে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানান তিনি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ।
অনুষ্ঠান শেষে সবাইকে অগ্রিম ঈদের শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, যত্রতত্র কোরবানি করে জায়গা যেন নষ্ট না হয়, নোংরা না হয় সেদিকে সবাইকে লক্ষ্য রাখতে হবে। যার যার নিজের আবাসস্থল থেকে শুরু করে সব জায়গায় নজর রাখতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের অর্থনীতির মূল নির্ভরশীল হচ্ছে কৃষির ওপর। কৃষি অর্থনীতিটাকে আমরা আরও উন্নত করে শিল্পায়নে যাব। কিন্তু কৃষি বাদ দিয়ে না, কৃষিকেও আমরা উন্নত করব এবং কৃষিভিত্তিক শিল্পায়নটাই আমাদের বেশি গড়ে উঠবে। আমাদের কাঁচামাল তো এখান থেকেই আসবে। সেদিকে লক্ষ্য রেখে সারা বাংলাদেশে আমরা একশটা অর্থনৈতিক অঞ্চল করছি।
এই অঞ্চল করার উদ্দেশ্য হলো একজন ব্যবসায়ী যেখানে সেখানে একটা জমি কিনে আর একটা ইন্ডাস্ট্রি করে ফেলে, আমাদের কৃষি জমি নষ্ট করে দেয়। আমাদের আছে তিন ফসলের জমি, কোনোভাবেই এটা নষ্ট করা যাবে না। সেখানে কেউ কোনো ইন্ডাস্ট্রি করতে পারবে না। যত্রতত্র যেন কেউ জমি নষ্ট করতে না পারে সেজন্য আমরা বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল করে দিয়েছি। এটা করার একমাত্র উদ্দেশ্য হচ্ছে কৃষি জমি রক্ষা করা।
তিনি বলেন, দিনদিন আমাদের লোকসংখ্যা বাড়ছে, নগরায়ণ হচ্ছে, উন্নয়ন হচ্ছে, এতে ফসলি জমি যেন নষ্ট না হয়। কিন্তু যে জমি আছে সেখানে যেন ফসলটা করতে পারি। আমরা আমাদের ফসল উৎপাদন করব, কারও কাছে যেন হাত পাততে না হয়।
১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের খুব তিক্ত অভিজ্ঞতা, ‘৭৪ সালে নগদ টাকা দিয়ে কেনা খাদ্য কিন্তু আসতে দেয়নি। ২০১৩ সালে খালি আগুন দিয়ে মানুষ পোড়ানো হয়নি, হাজার হাজার গাছ কেটে ফেলেছিল এই বিএনপি-জামায়াত। রাস্তার পাশে যত গাছ ছিল সব কেটে ফেলা হয়েছিল।
নদী বন্দর/এসএইচবি