নিজ দেশের সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেফতার অং সান সু চি জনগণকে রাস্তায় নেমে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। এই সামরিক অভ্যুত্থান মেনে না নিয়ে বিক্ষোভের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
এমন পরিস্থিতিতে মিয়ানমারের সেনা কর্মকর্তাদের সতর্ক করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসন। অভ্যুত্থানে আটক অং সান সু চিসহ মিয়ানমারের বেসামরিক রাজনীতিবিদদের ছেড়ে দেওয়া না হলে ‘ব্যবস্থা নেওয়া হবে’ বলে সতর্ক করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
সোমবার সংবাদমাধ্যম পলিটিকো এ তথ্য জানায়। প্রেসিডেন্ট বাইডেন ক্ষমতা নেওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই মিয়ানমারের সেনা অভ্যুত্থান তার পররাষ্ট্রনীতির জন্য ‘চ্যালেঞ্জ’ হয়ে দেখা দিয়েছে। বিশ্বজুড়ে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার অঙ্গীকার করেছিলেন তিনি। এমনকি কমিউনিস্ট নেতৃত্বাধীন চীনের বিরুদ্ধেও এ নীতি অটল থাকবে বলে জানিয়েছিলেন তিনি।
এদিকে সু চির বরাত দিয়ে তার মুখপাত্র মাইও নিন্ত এক বিবৃতিতে জানান, ‘সামরিক বাহিনীর এই পদক্ষেপ দেশকে আবারো স্বৈরতন্ত্রের দিকে ঠেলে দেবে।’
এনএলডি নেতা অং সান সু চির নাম উল্লেখ করে তিনি জানান, ‘আমি জনগণকে এই সামরিক অভ্যুত্থান মেনে না নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। তাদের প্রতিক্রিয়া জানাতে এবং আন্তরিকভাবে এই সামরিক পদক্ষেপের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করার আহ্বান জানাচ্ছি।’
জার্মানভিত্তিক গণমাধ্যম ডয়েচে ভেলে সু চির মুখপাত্রকে উদ্ধৃতি করে খবর প্রকাশ করেছে।
স্থানীয় সময় সোমবার দেশটির সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেফতার হয়েছেন মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিল অং সান সু চি। গত ৮ নভেম্বরের নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করে সু চির দল। নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে দেশটির সেনাবাহিনী।
ক্ষমতা ভাগাভাগি নিয়ে বনিবনা না হওয়ায় গত কয়েক দিন ধরেই দেশটিতে সামরিক অভ্যুত্থানের গুঞ্জন ছড়ায়। সোমবার এমন গুঞ্জনই প্রমাণ হলো। সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেফতারের পর এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে মিয়ানমারে। এমন বাস্তবতায় মিয়ানমার কোন পথে হাঁটছে, তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
নদী বন্দর / পিকে