জাতিসংঘ মিয়ানমারে জরুরি অবস্থা জারির পাশাপাশি দেশটির নেত্রী অং সান সু চিসহ অন্যান্য শীর্ষ রাজনীতিকদের বন্দি অসাংবিধানিক এবং অবৈধ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে । মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের রুদ্ধদ্বার বৈঠকের পর বিবৃতিতে এ কথা বলেন মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিচ।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মিয়ানমারে নিযুক্ত জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিনিধি ক্রিস্টিন শ্রেনার বার্গনার। তিনি দেশটিতে সেনা অভ্যুত্থানের তীব্র নিন্দা জানান। শ্রেনার বার্গনার বলেন, গণতন্ত্রের প্রতি সমর্থন জানিয়ে জান্তা সরকারের প্রতি স্পষ্ট ও কঠোর বার্তা পাঠানো দরকার পরিষদের। জরুরি বৈঠকের মূল বক্তব্য- অবিলম্বে মুক্তি দেওয়া হোক রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা সু চি, প্রেসিডেন্ট এবং বন্দি এনএলডির নেতা-সমর্থকদের।
এদিকে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের মিয়ানমারের সেনা অভ্যুত্থান নিয়ে নিন্দা প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে চীন। সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) ক্ষমতাসীন দল-এনএলডি নেত্রী অং সান সু চিসহ শীর্ষ রাজনীতিকদের গ্রেফতারের পর সামরিক অভ্যুত্থানের ঘোষণা দেয় দেশটির সেনাবাহিনী। এরপর সেখানে আগামী এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়।
অভ্যুত্থানের পর একটি নতুন সুপ্রিম কাউন্সিল গঠন করেছে মিয়ানমারের সেনা কর্মকর্তারা, যে কাউন্সিলের অধীনস্থ হয়ে থাকবে মন্ত্রিসভা। গণতান্ত্রিক সরকারকে হটিয়ে সামরিক অভ্যুত্থানের ঘটনায় মঙ্গলবার এক জরুরি বৈঠক করে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। কিন্তু চীনের বিরোধিতার কারণে যৌথ বিবৃতিতে দিতে ব্যর্থ হয় জাতিসংঘ।
নদী বন্দর / এমকে