প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের মার্চের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।
সোমবার রাতে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
এতদিন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস আগামী ডিসেম্বর কিংবা আগামী বছর জুনে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলেছিলেন। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলো ন্যূনতম সংস্কার চাইলে চলতি বছরের ডিসেম্বরে এবং বেশি সংস্কার চাইলে আগামী বছর জুনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
সোমবার ব্রিফিংয়ে প্রেস সচিব বলেন, কালবৈশাখী ও ঝড়-বৃষ্টির কারণে ‘এপ্রিল থেকে জুন নির্বাচন আয়োজনের জন্য এতটা উপযোগী না’।
নির্বাচন নিয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এটা নিয়ে কিন্তু অনেকবার কথা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা, অন্যান্য উপদেষ্টাসহ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অনেকেই এটা নিয়ে কথা বলেছেন। প্রধান উপদেষ্টা আগে দুইটা ডেইট বলেছিলেন, একটা হচ্ছে ডিসেম্বরের মধ্যে ইলেকশন যদি রাজনৈতিক দলগুলো কম রিফর্ম চায়। আর যদি তারা চান আমরা আরও কিছুদিন থাকি তাহলে উনি (প্রধান উপদেষ্টা) বলেছিলেন (আগামী বছরের) প্রথমার্ধে হবে।
“কিন্তু এখানে প্র্যাকটিক্যাল একটা ইস্যু হচ্ছে যে, এপ্রিল মাসের থেকে কালবৈশাখী ও ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়ে যায়। জুনে আবার মনসুন (বর্ষাকাল) শুরু হয়ে যায়। ফলে ওই তিনটা মাস আসলে ইলেকশনের জন্য অতটা উপযোগী না। সেজন্য আমাদের ধারণা ইলেকশন হয় ডিসেম্বরের মধ্যে হবে, নতুবা ম্যাক্সিমাম মার্চের মধ্যে।”
আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন না জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “এটা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেখবে। এটা উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্ত। এখনও এ বিষয়ে কোনো আলাপ হয়নি উপদেষ্টাদের মিটিংয়ে।”
জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের সুপারিশ করেছিল স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন।
প্রেস সচিবের ভাষ্য, বিএনপি জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজনের ‘বিরোধিতা করলেও’ অনেক দলই ‘এটার পক্ষে আছে’।
নতুন রাজনৈতিক দল গঠনকে কেন্দ্র করে তথ্য উপদেষ্টা নাইদ ইসলাম উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করবেন বলে গুঞ্জন আছে। এ বিষয়ে শফিকুল আলম বলেন, “এখনো পর্যন্ত তথ্য উপদেষ্টা পদত্যাগ করেননি। বাকিটা ওনার বিষয়। আমরা এ বিষয়ে আর কোনো মন্তব্য করতে চাই না।”
উপদেষ্টা পরিষদে রদবদলের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা সিদ্ধান্ত নেবেন মন্তব্য করে তিনি বলেন,”এটা আমরা এখনও জানি না কোনো ডিসিশন আছে কি না।”
ঐকমত্য কমিশনের সংস্কার কমিশনের রিপোর্টগুলোর কপি রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানোর তথ্য দিয়ে তিনি বলেন, এ রিপোর্টগুলো বিশ্লেষণ করে রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্য কমিশনকে তাদের ফিডব্যাক জানাবে।
সংস্কার প্রস্তাবের ওপর তাদের মতামত পাওয়ার পর জাতীয় ঐকমত্য কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাদাভাবে আলোচনার উদ্যোগ নেবে, বলে জানান তিনি।
নদীবন্দর/এসএইচ