শেষবিকেলে আর কোন বিপর্যয় ঘটেনি। সাকিব আল হাসান আর লিটন দাস পার করেছেন ১ম দিনের বাকি অংশ। দিনশেষে টাইগারদের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ২৪২ রান। সাকিব অপরাজিত আছেন ৩৯ রানে আর লিটন ৩৪ রানে।
৬ষ্ঠ উইকেট জুটিতে দু’জনের সংগ্রহ এখন পর্যন্ত ৪৯ রান। দ্বিতীয় দিনে আবারো ব্যাট করতে নামবেন সাকিব-লিটন।
এর আগে চট্টগ্রামে উইন্ডিজদের বিপক্ষে সিরিজের ১ম টেস্টের ১ম দিনে ব্যাট করতে নেমে শুভসূচনা করতে পারেনি টাইগাররা। দলীয় মাত্র ২৩ রানে সাজঘরে ফিরে যান অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল। তার সংগ্রহ মাত্র ৯ রান।
আশার আলো দেখিয়েছিলেন নাজমুল শান্ত ও তরুণ ওপেনার সাদমান ইসলাম। এই দু’জনের জুটিতে আসে ৪৩ রান। ক্রিজে সেট হয়েও অধৈর্য্য বনে যান শান্ত। রান আউট হয়ে ফিরে যান দলীয় ৬৬ রানে। তার ব্যক্তিগত সংগ্রহ ২৫ রান।
অধিনায়ক মুমিনুল হকও উইকেটে টিকে ছিলেন দীর্ঘ সময়। তবে তার আউটটা ছিল বেশ দৃষ্টিকটু। স্পিনার ওয়ারিকানের বলে ক্যাম্পবেলের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে উইকেট বিলিয়ে দেন তিনি। তার আগে ৯৭ বল মোকাবেলায় সংগ্রহ করেন ২৬ রান।
দীর্ঘদিন পর টেস্ট খেলতে নামা তরুণ ওপেনার সাদমান ইসলাম লড়াই চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। অভিষেক টেস্টে ফিফটি হাঁকানো এই ব্যাটসম্যান ৫ টেস্ট পর আবারো পেলেন ফিফটির দেখা। তবে বিতর্কিত এক আউটে বিদায় নিতে হয়েছে তাকে। ১৫৪ বলে ৫৯ রানের ইনিংসটি শেষ হয় ওয়ারিকানের এলবিডব্লিউ’র ফাঁদে পড়ে। তবে পরে দেখা যায়, রিভিউ নিলে বেঁচেই যেতেন সাদমান!
১৩৪ রানে ৪ উইকেট হারানো বাংলাদেশ তাকিয়ে ছিল দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম ও সাকিব আল হাসানের দিকে। দু’জন আস্থার প্রতিদানও দিচ্ছিলেন। গড়েন ৫৯ রানের জুটি। তবে দিনের শেষ সেশনে এসে বিদায় নেন মুশি। ওয়ারিকানের বল ব্যাটের কানায় লেগে চলে যায় স্লিপে দাঁড়ানো রাহকিম কর্নওয়ালের হাতে। ৩৮ রান করে বিদায় নেন মুশফিক। দলের রান তখন ১৯৩।
১ম দিনের বাকি সময়টায় সমর্থকদেরকে আর দুর্ভাবনায় পড়তে দেন নি সাকিব ও লিটন দাস। দু’জন নিশ্চিন্তে পাড়ি দেন বাকি সময়। সাকিব টেস্ট মেজাজে খেললেও কিছুটা ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাট চালিয়েছেন লিটন দাস। ৫৮ বলে ৩৪ রান করে অপরাজিত তিনি। ৯২ বলে ৩৯ রান করে অপরাজিত সাকিবও।
আগামীকাল দলকে বড় সংগ্রহ পাইয়ে দিতে আবারো মাঠে নামবেন এই দু’জন।
উইন্ডিজের হয়ে ১ম দিনে ৩টি উইকেট শিকার করেছেন স্পিনার ওয়ারিকান। ১টি উইকেট গেছে কেমার রোচের দখলে।
নদী বন্দর / জিকে