নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাবেক ছাত্রদল নেতা জাকির খান কারামুক্ত হয়েছেন। রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় নারায়ণগঞ্জ কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কারাগারের সুপার মুহাম্মদ ফোরকান ওয়াহিদ। তিনি বলেন, জাকির খান একটি হত্যা মামলায় খালাস পাওয়ায় মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
এদিকে আলোচিত এ নেতাকে বরণ করে নিতে কয়েক হাজার সমর্থক ভোর থেকে নারায়ণগঞ্জ কারাগারে সামনে উপস্থিত হন। কারাগার থেকে বের হওয়ার পর তাকে ফুল দিয়ে করেন সমর্থকরা। এরপর দেওভোগে নিজ বাড়িতে যান জাকির।
জানা যায়, হত্যাসহ ৩৩ মামলার আসামি ছিলেন জাকির। দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর ২০২২ সালের ৩ সেপ্টেম্বরে তাকে রাজধানী থেকে গ্রেফতার করে র্যাব-১১। এরপর ধাপে ধাপে বিভিন্ন মামলায় জামিন পান তিনি। চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি সাব্বির আলম হত্যা মামলার রায়ে তিনি এবং মামলার অন্য আসামিরা খালাস পান।
সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কথা বলায় ২০০৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি ফতুল্লার মাসদাইর এলাকায় আততায়ীদের গুলিতে প্রাণ হারান সাব্বির আলম। এ ঘটনায় মৃতের বড় ভাই তৈমুর আলম খন্দকার বাদী হয়ে ফতুল্লা থানায় মামলা করেন। সেই মামলায় নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা) আসনের তৎকালীন বিএনপি দলীয় এমপি গিয়াসউদ্দিনকে প্রধান আসামি করা হয়। ওই মামলা জাকির, তার দুই ছোট ভাই মামুন খান এবং জিকুকেও আসামি করা হয়।
দীর্ঘ ৩৪ মাস তদন্ত শেষে সিআইডি ২০০৬ সালের ৮ জানুয়ারি আদালতে আটজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়। চার্জশিটে মামলার প্রধান আসামি গিয়াস উদ্দিনকে মামলা থেকে বাদ দেওয়া হলে প্রধান আসামি হন জাকির।
পরে তার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড অ্যালার্ট জারি হয়। সাব্বির আলম খন্দকার হত্যার সময়ে ভারতে চিকিৎসাধীন ছিলেন বলে আদালতে স্বাক্ষী প্রমাণ তুলে ধরেন জাকির। এরপর থেকে তিনি পলাতক জীবনে গেলে নারায়ণগঞ্জে প্রকাশ্যে রাজনীতি জীবন থেকে ছিটকে পড়েন।
নদীবন্দর/এবি