পাকিস্তানের সেনাবাহিনী ভারতের আগ্রাসনের জবাব দিতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর–আইএসপিআর–এর মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী। বুধবার (৭ মে) সকালে এক আনুষ্ঠানিক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি জানান, মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ভারতীয় বিমান বাহিনী পাকিস্তানের মাটিতে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এতে বেশ কয়েকটি বেসামরিক স্থাপনা লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়। এখন পর্যন্ত অন্তত আটজন বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং ৩৩ জন আহত হয়েছেন।
পাকিস্তানের কোটলি, ভাওয়ালপুর, মুরিদকে, বাগ এবং মুজাফফরাবাদ এলাকায় এসব হামলা চালানো হয়েছে বলে জানান আইএসপিআর প্রধান। কেবল পূর্ব আহমদপুর এলাকাতেই প্রাণ হারিয়েছেন পাঁচজন, যাদের মধ্যে একটি শিশু কন্যাও রয়েছে। মুজাফফরাবাদের বিলাল মসজিদে হামলায় এক শিশু আহত হয়েছে। এছাড়া কোটলির আব্বাস মসজিদ ও মুরিদকেতেও মসজিদ লক্ষ্য করে হামলা হয়েছে, যাতে আরও একজন নিহত ও একজন আহত হয়েছেন।
জেনারেল আহমেদ শরীফ বলেন, ‘এই কাপুরুষোচিত হামলার উপযুক্ত জবাব দিচ্ছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী। দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ এবং আমরা এটি করে যাচ্ছি দৃঢ়ভাবে ও সমন্বিতভাবে।’
এদিকে, পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ দাবি করেছেন, সীমান্ত আগ্রাসনের পাল্টা জবাবে পাকিস্তান বিমান বাহিনী ইতোমধ্যে অন্তত পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে।
অন্যদিকে, ভারতীয় সেনাবাহিনী দাবি করেছে, পাকিস্তানি গোলাবর্ষণে ভারতশাসিত কাশ্মীরে তিনজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। তারা পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানিয়েছে।
পাকিস্তান দাবি করছে, ভারত এই হামলা চালিয়ে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে এবং নিরীহ মানুষকে টার্গেট করে মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন করেছে। পাকিস্তান সরকার ও সেনাবাহিনী একযোগে এই হামলার জবাব দিচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও জাতীয় স্বার্থে এমন জবাব অব্যাহত থাকবে বলে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে ইসলামাবাদ।
সূত্র: দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন
নদীবন্দর/জেএস