1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
ভারত-পাকিস্তান ৮৭ ঘণ্টার যুদ্ধ — প্রতি ঘণ্টায় ক্ষতি ১০০ কোটি ডলার - Nadibandar.com
মঙ্গলবার, ০৫ অগাস্ট ২০২৫, ১০:২৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
জুলাই ঘোষণাপত্র: মির্জা ফখরুলের নেতৃত্বে অংশ নেবে বিএনপি শেখ হাসিনাকে ফেরতের বিষয়ে ভারত সাড়া দিচ্ছে না: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা জনগণই বিএনপির সব রাজনৈতিক ক্ষমতার উৎস: তারেক রহমান আন্দোলনে নিহত ১১৪ জনের মরদেহ উত্তোলনের নির্দেশ ৫০ লাখ ব্যালট বাক্সের লক কিনবে ইসি স্বৈরাচারের ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার গণঅভ্যুত্থান দিবসের কর্মসূচি: মঙ্গলবার রাজধানীর যেসব সড়ক এড়িয়ে চলবেন ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলে ভর্তির ক্ষেত্রেও দেখাতে হবে রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র সংগঠনের ৭৮ শহীদ পরিবারকে আজ সম্মাননা দেবে যুবদল টানা বর্ষণ ও বন্যায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের শিকার পাকিস্তান, নিহত ২৯৯
নদীবন্দর,ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ১১ মে, ২০২৫
  • ২৩ বার পঠিত

গত ৭ মে রাত ১টা ৫ মিনিটে ভারতীয় বিমান বাহিনী ‘অপারেশন সিন্দুর’ নামে একটি সামরিক অভিযানে নামে। মাত্র ২৩ মিনিটের এই আক্রমণে তারা পাকিস্তানের ভেতরে ৯টি বেসামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্যবস্তু বানায়।

এই অভিযানে ভারতের প্রধান আক্রমণাত্মক প্ল্যাটফর্ম ছিল ফরাসি সংস্থা দাসো’র নির্মিত রাফাল যুদ্ধবিমান। এসব যুদ্ধবিমান স্ক্যাল্প ইজি (স্টর্ম শ্যাডো) ক্রুজ মিসাইল এবং এএএসএম হ্যামার বোমা দিয়ে সজ্জিত ছিল — এগুলোর মাধ্যমে প্রায় ৫৫০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে নিখুঁতভাবে আঘাত হানা সম্ভব।

পাকিস্তানে এই হামলার সময় ভারত পাকিস্তানি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার দুর্বলতা খুঁজে বের করতে ও বিশ্লেষণ করতে ইসরায়েলি প্রযুক্তির হারোপ এবং স্কাইস্ট্র্যাইকার ড্রোন পাঠায়।

এই ড্রোনগুলো শুধু নজরদারি বা হামলার জন্যই ব্যবহৃত হয়নি — বরং পাকিস্তানের রাডার ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার প্রতিক্রিয়া বুঝে নিয়ে তাদের দুর্বল জায়গাগুলো চিহ্নিত করাই ছিল এগুলোর উদ্দেশ্য।

এরপর ভারতের এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় ৭ থেকে ১০ মে পর্যন্ত পাকিস্তান পূর্ণাঙ্গ সামরিক জবাব দেয়, যাতে পাকিস্তানের বিমান বাহিনী, সেনাবাহিনী ও ক্ষেপণাস্ত্র ইউনিট সক্রিয়ভাবে অংশ নেয়। আর এই অভিযানে চীনা নির্মিত জে-১০সি (J-10C) যুদ্ধবিমান ছিল পাকিস্তানের মূল আক্রমণাত্মক প্ল্যাটফর্ম, যা পিএল-১৫ দূর-পাল্লার এয়ার-টু-এয়ার মিসাইল দিয়ে সজ্জিত ছিল। পাশাপাশি, পাকিস্তান কোরাল (KORAL) ইলেকট্রনিক ওয়্যারফেয়ার সিস্টেম ব্যবহার করে শত্রু রাডার ও যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত করে।

এদিকে ৭ মে রাত ১টা ৫ মিনিট থেকে ১টা ৩০ মিনিটের মধ্যে পাকিস্তানের বিমান বাহিনী এক ঐতিহাসিক সাফল্য অর্জন করে — তারা ভারতীয় বিমান বাহিনীর তিনটি ফরাসি রাফাল যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করে। এটি বিশ্বে নজিরবিহীন এবং বাস্তব কোনও যুদ্ধে ৪.৫ প্রজন্মের রাফাল যুদ্ধবিমানের প্রথম ধ্বংস হওয়ার ঘটনা।

পাকিস্তান দাবি করে, এই সময়ের মধ্যে তারা ভারতের আরও ১২টি ড্রোনও গুলি করে ভূপাতিত করে। মূলত এগেুলো মোকাবিলা করতে ইলেকট্রনিক জ্যামিং, অ্যান্টি-এয়ারক্রাফট গান ও শর্ট-রেঞ্জ মিসাইল ব্যবহার করা হয়।

এই ৮৭ ঘণ্টা ২৫ মিনিটে অর্থাৎ ৭ থেকে ১০ মে পর্যন্ত, ভারতের শেয়ারবাজারে (নিফটি ৫০ এবং বিএসই সেনসেক্স) মোট ৮২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মূলধন হ্রাস পায়। উত্তর ভারতের আকাশসীমা বন্ধ থাকায় বাণিজ্যিক বিমানগুলো প্রতিদিন গড়পড়তা ৮ মিলিয়ন ডলারের ক্ষতির শিকার হয়।

আইপিএল স্থগিত হয়ে যায়, যার ফলে টিভি সম্প্রচার, টিকিট বিক্রি ও বিজ্ঞাপন বাবদ আরও ৫০ মিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হয়। সামরিক অভিযান বাবদ আনুমানিক ১০০ মিলিয়ন ডলার খরচ হয়, আর হারানো যুদ্ধবিমানের ক্ষতি ৪০০ মিলিয়ন ডলার।

এছাড়া পণ্য পরিবহনে বিলম্ব এবং সরবরাহ চেইন ব্যাহত হওয়ায় আরও ২ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হয়। বিনিয়োগকারীদের আস্থা ও বিদেশি বিনিয়োগে যে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে, তার পরিমাণ নির্দিষ্টভাবে পরিমাপ করা না গেলেও তা মোট ক্ষতির অংশ হিসেবে বিবেচিত। সবমিলিয়ে ভারতের আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৮৩ বিলিয়ন বা ৮ হাজার ৩০০ কোটি মার্কিন ডলার।

অন্যদিকে, একই সময়ের মধ্যে পাকিস্তানের কেএসই-১০০ সূচক ৪.১ শতাংশ কমে যায়, যার ফলে বাজার মূলধনে প্রায় ২.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ক্ষতি হয়। পাকিস্তান সুপার লীগ (পিএসএল) স্থগিত হওয়ায় সম্প্রচার ও সংশ্লিষ্ট খাতে আরও ১০ মিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হয়।

এছাড়া আকাশসীমা বন্ধ থাকায় বাণিজ্যিক বিমানে ক্ষতি হয় আনুমানিক ২০ মিলিয়ন ডলার। প্রতিদিনের সামরিক খরচ ছিল প্রায় ২৫ মিলিয়ন ডলার। বাইরাক্তার টিবি২ ড্রোন ও রা’আদ ক্রুজ মিসাইল ব্যবহারে খরচ হয়েছে প্রায় ৩০০ মিলিয়ন ডলার। বিনিয়োগ আস্থা কিছুটা কমে গেলেও তা পরিমাপযোগ্য নয়। মোট ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৪ বিলিয়ন ডলার।

এই যুদ্ধ শুধু আকাশে নয়, অর্থনীতির মাটিতেও লড়াইয়ের রূপ নিয়েছিল। শেয়ারবাজারে ধস, বিমান চলাচলে স্থবিরতা, সরবরাহ শৃঙ্খলার ভেঙে পড়া এবং বিদেশি বিনিয়োগকারীদের পিছু হটে যাওয়ায় বোঝা গেছে — আধুনিক যুদ্ধের প্রকৃত মূল্য শুধু ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র বা যুদ্ধবিমানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়।

প্রতি ঘণ্টায় এক বিলিয়ন বা ১০০ কোটি ডলারের ক্ষতি এই ৮৭ ঘণ্টার সংঘাতকে বিশ্বের কাছে এক করুণ বাস্তবতা হিসেবে তুলে ধরেছে।

সূত্র : দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল

নদীবন্দর/এএস

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com