বগুড়া সারিয়াকান্দিতে যমুনা এবং বাঙালি নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এবং বাঙালি নদীর পানি বিপদসীমার ১.৬৪ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানিয়েছে, উজানে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে পানিবৃদ্ধি হয়েছে এবং জুন মাসের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত পানি এভাবে কমবেশি হতে থাকবে।
গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে বাঙালি নদীর পানি ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। গত বৃহস্পতিবার এ নদীর পানির উচ্চতা হয়েছে ১৩.০৫ মিটার। রবিবার এ নদীর পানির উচ্চতা হয়েছে ১৩.৭৬ মিটার। অর্থাৎ গত তিন দিনে সারিয়াকান্দিতে বাঙালি নদীর পানি ৭১ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। সারিয়াকান্দিতে বাঙালি নদীর পানির উচ্চতা ১৫.৪০ মিটার। অর্থাৎ বাঙালি নদীর পানি বিপৎসীমার ১.৬৪ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
গত বৃহস্পতিবার সারিয়াকান্দির মথুরাপাড়া পয়েন্টে যমুনা নদীর পানির উচ্চতা ছিল ১৩.৮৬ মিটার। রবিবার এ নদীর পানির উচ্চতা হয়েছে ১৩.০০ মিটার। অর্থাৎ গত ৩ দিনে যমুনা নদীর পানি ১৪ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। সারিয়াকান্দিতে যমুনা নদীর পানি ১৬.২৫ মিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অর্থাৎ এ উপজেলায় যমুনার পানি বিপৎসীমার ৩.২৫ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বাঙালি এবং যমুনা নদীতে পানিবৃদ্ধিতে দুই নদীতেই পানির স্বাভাবিক প্রবাহ চালু হয়েছে। বেশকিছু মরে যাওয়া খালগুলোতে প্রাণের সঞ্চার হয়েছে এবং সেখানে পানি প্রবাহ চালু হয়েছে। ফলে চরাঞ্চলের মানুষেরা একস্থান থেকে অন্যস্থানে খুব সহজেই চলাচল করতে পারছেন। এতে তারা তাদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য খুব সহজেই বাজারজাত করতে পারছেন। চরাঞ্চলে পালিত কোরবানির পশুও খুব সহজেই দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রির জন্য নিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে।
বগুড়া জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল হক বলেন, উজানে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে যমুনা এবং বাঙালি নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। আগামী জুন মাসের ১৫ তারিখ পর্যন্ত পানি এ রকম কমবেশির মধ্যেই থাকবে। জুন মাসের শেষের দিক থেকে পানি একেবারে স্থায়ীভাবে বাড়তে শুরু করবে। এই মুহূর্তে পানি বিপদসীমা অতিক্রম করার কোনো সম্ভাবনা নেই।
নদীবন্দর/জেএস