করোনা ভাইরাসের টিকা গ্রহণ করেছেন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের একঝাঁক কেন্দ্রীয় নেতা। বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস অ্যান্ড হসপিটালের টিকাদান কেন্দ্রে তারা টিকা নেন।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের তালিকা অনুযায়ী এদিন ১৪জন কেন্দ্রীয় নেতা টিকা গ্রহণের আগ্রহ প্রকাশ করেন। তারমাঝে ডজনখানেক নেতা আগারগাঁও থেকে টিকা নিয়েছেন।
টিকা নেয়া নেতারা হলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল ইসলাম চৌধুরী নাদেল, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপা, আন্তর্জাতিক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য আনোয়ার হোসেন, সাহাবুদ্দিন ফরাজী ও সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম।
একই দিনে উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য মুকুল বোস, ইনাম আহমেদ চৌধুরী, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, কেন্দ্রীয় সদস্য উপাধ্যক্ষ রেমন্ড আরেং, আজিজুস সামাদ আজাদ ডন টিকা নেবেন বলে জানা গেছে।
এর আগে কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা তাদের নির্বাচনী এলাকায় গিয়ে নিজেরা টিকা গ্রহণের মধ্য দিয়ে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরাও নানান সময়ে টিকা নিয়েছেন।
টিকা গ্রহণ করে দেশবাসীকেও টিকা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা। তারা বলেছেন, করোনাভাইরাসের টিকা গ্রহণে কোনো অপপ্রচার-মিথ্যাচারে কান না দিয়ে টিকা গ্রহণ করুন। যে যতই অপপ্রচার করুক, আমাদের টিকাদান কার্যক্রম চলবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা রেখেছেন। পর্যায়ক্রমে দেশের সব মানুষকে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা টিকা প্রদানের ব্যবস্থা করবেন।
টিকা গ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের সামনে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনেক দেশের বিরুদ্ধে লড়াই করে এই টিকা এনেছেন প্রান্তিক জনগণের স্বাস্থ্যের উন্নতির লক্ষ্যে। তিনি মানুষকে সুরক্ষা দেয়ার জন্য কৃষি, শিক্ষা খাতের মতোই এটিকে দেখছেন। মহামারির ভয়াল এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য বাংলাদেশের প্রত্যেকটি মানুষকে সুস্থ রাখার জন্য তিনি টিকার ব্যবস্থা করেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘অপপ্রচার আগেও ছিল সব কাজে। অপপ্রচার এখনো আছে। তারপরও মানুষ যেটা সঠিক সিদ্ধান্ত, সেটাই মেনে নিচ্ছে আমরা মনে করি।’
নদী বন্দর / পিকে