মাদক চোরাচালান বন্ধে সরকার ব্যর্থ নয়। এটি নিয়ন্ত্রণে সীমান্তে রোড তৈরি হচ্ছে। সব কাঠামো হয়ে গেলে সীমান্তে চোরাচালান কমবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। রবিবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে কোস্টগার্ড সদরদপ্তরে বাহিনীর ২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, বাংলাদেশ কোস্টগার্ড বাহিনীর তৎপরতার কারণে উপকূলীয় অঞ্চলে মাদকের চোরাচালান কমেছে। মাদক ব্যবসা লাভজনক হওয়ায় এটি নিয়ন্ত্রণ কঠিন। আমাদের সীমান্তগুলোতে আরো বেশি নজরদারির জন্য সংশ্লিষ্ট বাহিনীগুলোকে আধুনিকায়ন করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, কোস্টগার্ডে জাপান থেকে আনা চারটি অস্ত্র ভ্যাসেল সংযুক্ত করা হয়েছে। আরো চারটি অস্ত্র ভ্যাসেল যুক্ত করা হচ্ছে। প্রয়োজনে বাহিনীটিতে এয়ারউইং সংযোজন করা হবে। সব ধরনের লজিস্টিক সাপোর্ট দিয়ে আধুনিকায়ন করা হবে।
কোস্টগার্ডের ২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে কোস্টগার্ডের ৪০ জন সদস্যকে পদক দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এ সময় মন্ত্রী কোস্টগার্ডের নানা সফলতা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড দুই যুগেরও অধিক সময় ধরে সমুদ্র বাণিজ্য ও উপকূলীয় জনগণের নিরাপত্তা বিধানে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাই এ বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে সরকার বদ্ধপরিকর। খুব শিগগিরই যুক্ত হবে অত্যাধুনিক অফশোর প্যাট্রল ভেসেল (ওপিভি), হোভারক্রাফ্ট ও অন্যান্য উচ্চ প্রযুক্তি সম্পন্ন জলযান।
উপকূলীয় এলাকায় কোস্টগার্ডের বিভিন্ন বেইজ, স্টেশন ও আউটপোস্টে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণের মাধ্যমে বাহিনীর পূর্ণ বিকাশ নিশ্চিত করা হবে বলেও জানান তিনি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন, কেস্টগার্ডের মহাপরিচালক রিয়ার এডমিরাল এম আশরাফুল হকসসহ অন্যান্য সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানে।
নদী বন্দর / জিকে