তিন দফা দাবি আদায়ে সকল প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত চলমান থাকবে। একইসঙ্গে আগামী সপ্তাহে বিভাগীয় শহরগুলোতে সমাবেশ করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) সন্ধ্যায় ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নতুন এসব কর্মসূচির ঘোষণা দেন প্রকৌশলী অধিকার আন্দোলনের সভাপতি মোহাম্মদ ওয়ালী উল্লাহ।
সভাপতি বলেন, বিভাগীয় সমাবেশ শেষে ঢাকায় একটি জাতীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া গতকাল বুধবার পুলিশের ন্যাক্কারজনক হামলার পর ডিএমপি কমিশনার ক্ষমা চাইলেও এখন পর্যন্ত ওই ঘটনায় কোনো তদন্ত কমিটি গঠন করেননি। শিক্ষার্থী আহতের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে আমরা আরো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবো।
প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি হলো- ১. সহকারী প্রকৌশলী (নবম গ্রেড) পদে নিয়োগ: কেবলমাত্র ন্যূনতম বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রিধারীদের নিয়োগ দিতে হবে। কোনোভাবেই কোটাভিত্তিক বা অন্য নামে নতুন পদ সৃষ্টি করে পদোন্নতির সুযোগ দেওয়া যাবে না; ২. উপসহকারী প্রকৌশলী (দশম গ্রেড) পদে নিয়োগ: ন্যূনতম ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার এবং একই ডিসিপ্লিনে উচ্চতর ডিগ্রিধারী বিএসসি গ্র্যাজুয়েটদের জন্য নিয়োগ পরীক্ষার সুযোগ রাখতে হবে; ৩. প্রকৌশলী পদবির সুরক্ষা: বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি ছাড়া কেউ প্রকৌশলী পদবি ব্যবহার করতে পারবে না—এর জন্য আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। পাশাপাশি নন-অ্যাক্রিডেটেড বিএসসি কোর্সগুলোকে দ্রুত আইইবি-বিএইটিইর স্বীকৃতির আওতায় আনতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে ওয়ালী উল্লাহ বলেন, আমাদের দাবিগুলোর যৌক্তিক বিবেচনায় যে কমিটি গঠন করা হয়েছে সেখানকার ওয়ার্কিং কমিটিতে শিক্ষাবিদদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। কারণ উপদেষ্টা ও সচিবেরা বিভিন্ন আমলাতান্ত্রিক কাজে ব্যস্তত থাকেন। আমরা ওই কমিটিকে ১৫ দিনের বেশি সময় দিতে চাই না।
সংবাদ সম্মেলনের প্রকৌশল অধিকার আন্দোলনের উপদেষ্টা বলেন, ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীরা আগে ১১, ১২সহ বিভিন্ন গ্রেডে জয়েন করে সর্বশেষ ১০ গ্রেডে পদন্নোতি পেতো। কিন্তু এখন তারা দশম গ্রেডেই জয়েন করছে আর পদন্নোতি পেয়ে প্রকৌশলদের পদগুলো দখল করছে। ফলে প্রকৌশলীরা আর নিজেদের জায়গায় যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছে না সেভাবে। তাই দ্রুতই বৈষম্য দূর করতে ডিপ্লোমাদের ৩৩ শতাংশ পদন্নোতি কোটা বিলুপ্ত করতে হবে। একইসঙ্গে ১০ গ্রেডের চাকরিতে আবেদনের সুযোগ সবার নিশ্চিত করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে প্রকৌশল অধিকার আন্দোলনের অন্যান্য সংগঠকরা উপস্থিত ছিলেন।
নদীবন্দর/জেএস