ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব) এর কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন ছিলো আজ। ১১টি পদের মধ্যে ১০টিতেই ১ জন করে প্রার্থীতা করছেন। তাই এসব পদে প্রার্থীরা ‘অটোপাশ’ করে গেছেন। নির্বাচন হচ্ছে কেবল সভাপতি পদে। আর এই পদের জন্য লড়ছেন সাবেক ক্রিকেটার ও ম্যাচ রেফারি সেলিম শাহেদ এবং ক্রিকেটার মোহাম্মদ মিঠুন।
দুপুর তিনটা থেকে শুরু হওয়া ভোট গ্রহন, বিকাল পাঁচটায় শেষ হলে জানা যায় ১৫৪ ভোট পেয়ে থাকেন মোহাম্মদ মিঠুন। অন্যদিকে তার প্রতিদ্বন্দ্বী সেলিম শাহেদ পেয়েছেন ৩৪ ভোট। তাতে ১২০ ভোটের ব্যবধানে কোয়াবের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন মোহাম্মদ মিঠুন।
২০২৪ সালের আগস্টে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব)-এর সাবেক সভাপতি নাঈমুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত পাল পদত্যাগ করেন। এরপর সেলিম শাহেদের নেতৃত্বে একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হয়, যাদের তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে মিঠুন সভাপতি নির্বাচিত হন।
তামিম ইকবাল, যিনি একসময় সভাপতি পদে নির্বাচনের কথা ছিলেন, মিরপুরে গণমাধ্যমের কাছে জানান, তিনি কেন নির্বাচনে অংশ নেননি, তা সবাই বুঝতে পারবেন। তিনি বলেন, “কোয়াবে অনেক বিষয় নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে, কী হতে পারত বা কী হওয়া উচিত ছিল। আমাদের মূল লক্ষ্য ছিল নির্বাচন সম্পন্ন করা এবং একটি কমিটি গঠন করা। নতুন কমিটির হাতে দুই বছর সময় আছে, এর মধ্যে সবকিছু সুশৃঙ্খলভাবে সমাধান করতে হবে।”
নারী ক্রিকেটারদের অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে তামিম বলেন, “কোয়াবের ৯৫ শতাংশ কাজই বর্তমান ক্রিকেটারদের নিয়ে। পেমেন্ট, সুযোগ-সুবিধা বা অন্যান্য সমস্যা—এসব বর্তমান ক্রিকেটারদের সঙ্গে সম্পর্কিত। বর্তমান ক্রিকেটারদের মধ্য থেকে কেউ নেতৃত্বে এলে সেটাই সবচেয়ে ভালো। কারণ, তাদের সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ তারাই সবচেয়ে ভালো বোঝে।”
সাবেক ক্রিকেটারদের ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন তামিম। তিনি বলেন, “যারা আগে ক্রিকেট খেলেছেন, তাদের অবদানও কম নয়। তবে কোয়াবের বেশিরভাগ কাজ বর্তমান ক্রিকেটারদের নিয়ে। তাদের মধ্য থেকে সভাপতি বা কমিটি গঠিত হলে আমি খুব খুশি হব।”
নদীবন্দর/এএস