ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরে রপ্তানির পর এবার আমদানির দ্বার পুরোপুরিভাবে উন্মোচনের ঘোষণায় ব্যবসায়ীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা বিরাজ করছে। তাদের মত, এই বন্দরটি দিয়ে আমদানির পথ সুগম হওয়ায় ভারতের সেভেন সিস্টার্সের সঙ্গে যুক্ত আখাউড়া স্থলবন্দরটি চাঙা হয়ে উঠবে। বাড়বে সরকারের রাজস্ব।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া আখাউড়া স্থলবন্দরে দীর্ঘ ২৭ বছর পর আমদানির দ্বার উন্মোচন হওয়ার খবরে ব্যবসায়ীদের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে এই স্থলবন্দরটি দিয়ে শুটকি, হিমায়িত মাছ, সিমেন্ট, সয়াবিন, প্লাস্টিক পণ্য, কয়লাসহ অন্তত ৪২টি পণ্য রপ্তানি হয়ে আসছে। পক্ষান্তরে নাম মাত্র আমদানি হতো বোল্ডপাথর, সিএনজি অটোপার্স, ফুলের ঝাড়ু, সাতকড়া, তরল রাবারসহ কয়েকটি পণ্য। তবে চাহিদা না থাকায় এসব পণ্য আমদানিতে আগ্রহ ছিল না বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের।
এরই মধ্যে ভারতের ব্যবসায়ীরা আমদানি কমিয়ে দেয়ায় শতভাগ রফতানিমুখি বন্দরটি অনেকটাই ঝিমিয়ে পড়ে। গত ৯ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় সংসদ সদস্য আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের মাধ্যমে স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীদের কাছে খবর আসে,”নিষিদ্ধ ঘোষিত পণ্য ছাড়া সব ধরনের পণ্য আমদানির অনুমোদন হয়েছে। এমন খবরে স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন।
স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এই ঘোষণা বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে ঝিমিয়ে থাকা বন্দরটি এখন বেনাপোলের মতো চাঙ্গা হয়ে উঠবে।
এদিকে বন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী জানান, নিষিদ্ধ ঘোষিত পণ্য ব্যতীত সব পণ্য আমদানির সুযোগ দেয়ায় বন্দরে রাজস্ব বাড়বে।
১৯৯৪ সালে পোর্ট অব কল হিসেবে ঘোষিত আখাউড়া স্থলবন্দরটি ২০১০সালে পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দর হিসেবে যাত্রা শুরু করে।
নদী বন্দর / এমকে