এশিয়া কাপে আজ বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। সুপার ফোরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাঠে নেমেছে টাইগাররা। দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে লঙ্কানদের বিপক্ষে টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অধিনায়ক লিটন দাস। ব্যাট হাতে শুরুটা দুর্দান্ত করে লঙ্কানরা। দুই ওপেনার মিলে আগ্রাসী সূচনার করে। এরপর অবশ্য তাসকিন আহমেদ ও মেহেদী হাসান মিলে কয়েকবার ব্রেক থ্রু এনে দিয়েছিলেন দলকে। তবে মিডল অর্ডারে নামা দাশুন শানাকা খেলেছেন হাত খুলে। ৩৭ বলে ৬৪ রানের ঝড়ো এক ইনিংস খেলেন তিনি। তার মারকুটে ইনিংসের সুবাদেই শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৬৮ রানের বড় সংগ্রহ পায় শ্রীলঙ্কা।
লঙ্কান ওপেনাররা আজ শুরু থেকেই খেলেছেন মারকুটে মেজাজে। বাংলাদেশ বোলারদের বিপক্ষে হাত খুলে খেলছিলেন পাথুম নিশাঙ্কা ও কুশল মেন্ডিস। ফলে দ্রুত রান ওঠছিল স্কোরবোর্ডে।
তবে এ জুটি ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার আগেই তা থামান তাসকিন আহমেদ। পঞ্চম ওভারের শেষ বলে আঘাত হানেন তিনি। পঞ্চম ওভারের প্রথম বলেই তাসকিনের বলে ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন নিশাঙ্কা। শেষ বলেও ছক্কা হাকাতেই চেয়েছিলেন তিনি।
তবে পুল শটে বাউন্ডারি ছাড়া করতে চাইলেও বল চলে যায় সাইফ হাসানের হাতে। তা মুঠোবন্দী করে নিশাঙ্কাকে সাজঘরে ফিরতে হয়। আউট হওয়ার আগে করেছেন ১৫ বলে ২২ রান।
এরপর দ্রুত আরও ২ উইকেট এনে দেন মেহেদী। টানা দুই ওভারে দুই উইকেট তুলে নেন তিনি। অষ্টম ওভারে কুশল মেন্ডিস ও দশম ওভারে কামিল মিশারাকে সাজঘরের পথ দেখান তিনি। এরপর কুশল পেরেরাকে নিয়ে দলের হাল ধরেন শানাকা। এ জুটি স্কোরবোর্ডে তুলে ৩২ রান। ১৬ বলে ১৬ রান করে আউট হন পেরেরা। তবে শানাক ছিলেন আগ্রাসী মেজাজে। ৩০ বলে ফিফটি করা লঙ্কানদের সাবেক এই ওপেনার আজ টাইগার বোলারদের পাত্তাই দেননি।
পেরেরা ফেরার পর শানাকা ৫৭ রানের জুটি গড়েন অধিনায়ক আসালাঙ্কাকে নিয়ে। আসালাঙ্কা ১২ বলে ২১ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলে সাজঘরে ফিরলেও শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন শানাকা। ৩ চার আর ৫ ছয়ে ৩৭ বলে ৬৪ রান করেন তিনি। তার এই ইনিংসেই নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৬৮ রানের বড় সংগ্রহ পায় শ্রীলঙ্কা।
নদীবন্দর/এএস