সাতক্ষীরার কলারোয়ায় নৌখালের বেড়িবাঁধ-এর মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে ইটভাটা, মাছের ঘেরে, নিচ জমিতে ও বাড়ীতে। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বিকালে এলাকাবাসীর দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে সরেজমিনে উপজেলার দমদম-পাঁচপোতার নৌখালের বেড়িবাঁধ ঘুরে এমন দৃশ্যই দেখা গেছে।
সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড কলারোয়ায় ধান চাষীদের চাষাবাদের কথা চিন্তা করে উপজেলার প্রতিটি নৌ-খালের পলি মাটি কেটে খালের দুই ধারে বড় করে বেড়িবাঁধ দিয়ে দেন। যাতে করে বর্ষা মৌসুমে খালের পানি ফসলী খেতে ঢুকে ফসল নষ্ট না করতে পারে সে জন্য। গত ২১ জানুয়ারী ২০১৯ কলারোয়া উপজেলায় নৌখালের পুনঃখনন কাজ করেন তারা।
ওই কাজটি করেন- সাতক্ষীরার কাটিয়া এলাকার ঠিকাদার খন্দকার আলী হায়দার। সেময় কাজটির দেখাশোনার দায়িত্বে ছিলেন সংশ্লিষ্ট শাখার কর্মকর্তা এসএম সাইদুজ্জামান ও নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল খায়ের। এই কাজটির সাত-১-ডব্লিউ-০/২০১৮-১৯ প্যাকেজের প্রাক্কলিত মূল্য ছিলো ২৩৪ কোটি ৮২ লাখ ৬ হাজার ৬৮৬ টাকা। আর চুক্তির মূল্য ছিলো ২৩০ কোটি ৩ লাখ ২২ হাজার ৮৮ টাকা।
এই প্যাকেজের কাজটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সুন্দরভাবে করলেও এক শ্রেণীর অসাধু ব্যক্তি নৌখালের বেড়িবাঁধের মাটি কেটে ইটভাটায় নিয়ে যাচ্ছে। এতে করে বর্ষা মৌসুমে নৌখালের পানি ফসলী মাঠে ঢুকে ফসল নষ্ট করে দেবে। এতে এলাকার হাজার হাজার কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
উপজেলার দমদম-পাঁচপোতা বাজার থেকে নৌখালের দুই ধারের বেড়িবাঁধটি এখন আর নেই বললে চলে। যে যেমন পারছে সে তেমন করে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে। মনে হচ্ছে- এখানে মাটি কাটার প্রতিযোগিতা চলছে। দেখার কেউ নেই, বলারও কেউ নেই।
এমনই অভিযোগ করেন এলাকার ১০/১২ জন সচেতন কৃষক। এছাড়া ওই এলাকার কৃষক নাজমুল হোসেন বলেন- এক্ষুনি এই মাটি কাটা বন্ধ না করা হলে বর্ষা মৌসুমে তারা ফসল করতে পারবেন না। মাঠ পানিতে তলিয়ে যাবে। তিনি বিষয়টি নিয়ে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও উপজেলা প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
বাংলা৭১নিউজ/এমএস