ম্যাচের ভাগ্য পেণ্ডুলামের মতো দুলছিল। টি-টোয়েন্টিতে ২২০ রানের লক্ষ্য তো পাহাড়সমান। সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১২ ওভার শেষে ৩ উইকেটে ১০৭ রান ছিল অস্ট্রেলিয়ার।
৪৮ বলে দরকার ১১৩ রান। জন ফিলিপস-মার্কাস স্টয়নিস যেভাবে ব্যাট চালাচ্ছিলেন, কঠিন হলেও জয়টা অসম্ভব মনে হচ্ছিল না। কিন্তু ১৩তম ওভারে এসে বড় ধাক্কা খায় অসিরা।
মিচেল স্যান্টনারের এক ওভারেই ৩ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে বলতে গেলে ছিটকে পড়ে দলটি। ওভারের তৃতীয় ডেলিভারিতে ৩২ বলে ৪৫ রান করে সাজঘরের পথ ধরেন জন ফিলিপ। পঞ্চম ও ষষ্ঠ বলে অ্যাশটন অ্যাগার আর মিচেল মার্শকে গোল্ডেন ডাকে ফেরান কিউই স্পিনার।
১৩ ওভার শেষে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ তখন ৬ উইকেটে ১১৩ রান। আর কি এত বড় লক্ষ্য তাড়া করা সম্ভব? অসম্ভবকে সম্ভব করার পথে দলকে এগিয়ে নিয়েছিলেন মার্কাস স্টয়নিস আর ড্যানিয়েল স্যামস।
কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি, তীরে এসে তরী ডুবেছে অস্ট্রেলিয়ার। ডানেডিনে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে তাদের ৪ রানে হারিয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে নিউজিল্যান্ড।
কঠিন পরিস্থিতি থেকে দলকে তোলাই নয়, চার-ছক্কার ফুলঝুরিতে সপ্তম উইকেটে ৩৭ বলে ৯২ রানের জুটি গড়েন স্টয়নিস-স্যামস। জয়টা তখন অনেকটাই চোখের সামনে। কিন্তু শেষ ওভারের নাটকীয়তায় শেষ হাসি হেসেছে কিউইরা।
শেষ ওভারে অস্ট্রেলিয়ার দরকার ছিল মোটে ১৫ রান। সেট ব্যাটসম্যান স্যামস-স্টয়নিস তখনও উইকেটে। চাপে ছিল বরং নিউজিল্যান্ডই। কিন্তু বল হাতে নিয়ে সেই চাপকে জয় করলেন কিউই পেসার জিমি নিশাম।
প্রথম বলেই তিনি আউট করে দেন স্যামসকে। দলকে ২০৫ পর্যন্ত নিয়ে গিয়ে থামেন স্যামস। ১৫ বলে ২ চার আর ৪ ছক্কায় করেন ৪৫ রান। ওই আউটের পরের দুই বল ডট নেন নিশাম।
চতুর্থ বলে স্টয়নিস ছক্কা মেরে উত্তেজনা বাড়িয়ে তুলেছিলেন। কিন্তু পরের বলেই তাকে থামিয়ে দেন নিশাম। ৩৭ বলে ৭ চার আর ৫ ছক্কায় ৭৮ রান করে স্টয়নিস লং অনে হন ক্যাচ। ভাঙে অসিদের স্বপ্ন।
শেষ বলে ঝি রিচার্ডসন বাউন্ডারি হাঁকিয়ে কেবল আক্ষেপই বাড়িয়েছেন সফরকারিদের। ৮ উইকেটে ২১৫ রানে থেমেছে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস।
এর আগে মাত্র ৩ রানের জন্য মার্টিন গাপটিল সেঞ্চুরি করতে না পারলেও দলকে বড় পুঁজি ঠিকই এনে দিয়েছিলেন। ৫০ বলে ৬ চার আর ৮ ছক্কায় ৯৭ রানের বিধ্বংসী এক ইনিংস খেলেন কিউই ওপেনার।
কেন উইলিয়ামসন ৩৫ বলে করেন ৫৩। বল হাতে জয়ের নায়ক নিশাম ব্যাটিংয়েও ছড়িয়েছিলেন আলো। শেষদিকে নেমে মাত্র ১৬ বলে ১ চার আর ৬ ছক্কায় ৪৫ রানে অপরাজিত থাকেন এই অলরাউন্ডার। সবমিলিয়ে নিউজিল্যান্ডের বোর্ডে জমা হয়েছিল ৭ উইকেটে ২১৯ রান।
নদী বন্দর / পিকে