মিয়ানমারের প্রধান ট্রেড ইউনিয়নগুলো সোমবার থেকে ধর্মঘট শুরুর করতে প্রস্তুতি নিয়েছে। দেশটির ভঙ্গুর অর্থনীতিকে সংকুচিত করতে এবং ক্ষমতাসীন জান্তা সরকারকে আরও চাপের মধ্যে ফেলতে এ পদক্ষেপ নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। খবর রয়টার্সের।
নির্মাণ, কৃষি, পণ্য উৎপাদনসহ অন্তত নয়টি খাতের ট্রেড ইউনিয়ন এই ধর্মঘটে যোগ দিচ্ছে। সেনা সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে ‘মিয়ানমারের সকল জনগণের’ প্রতি কাজে ইস্তফা দেয়ার ডাক দিয়েছেন তারা।
ধর্মঘটের জন্য দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ব্যবসা ও অর্থনীতি সচল রাখলে সেনাবাহিনীকে সহযোগিতা করা হবে কারণ তারা জনগণের শক্তি দমন করছে।
এতে আরও বলা হয়, ‘আমাদের গণতন্ত্রের জন্য পদক্ষেপ নেয়ার সময় এখনই।’
গত ১ ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানের পরপরই মিয়ানমারের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, শ্রমিক, শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের পেশাজীবীরা কাজে ইস্তফা দিয়ে রাজপথে বিক্ষোভ শুরু করেন। সোমবার থেকে ট্রেড ইউনিয়নগুলোর এই ধর্মঘটের ফলে বিক্ষোভে নতুন মাত্রা যোগ হতে যাচ্ছে।
বিক্ষোভকারীদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি অত্যন্ত সহিংসভাবে দমনের চেষ্টা চালাচ্ছে সামরিক সরকার। এ পর্যন্ত নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ৫০ জনেরও বেশি বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন। রোববার পর্যন্ত আটক হয়েছেন প্রায় ১৮শ ব্যক্তি।
তবে এর মধ্যেও বিক্ষোভ চালিয়ে যেতে উদ্যমে এতটুকু ঘাটতি পড়েনি মিয়ানমারের জনগণের। রোববার অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে অন্তত দশ হাজার মানুষ দেশটির বিভিন্ন শহরের রাস্তায় জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেছেন। বিক্ষোভে কাঁদানে গ্যাস ও গুলি ছুড়েছে নিরাপত্তা বাহিনী।
সোমবারেও বিক্ষোভ কর্মসূচি রয়েছে। বিক্ষোভের নেতা মং সাউংখা এক ফেসবুক পোস্টে অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে দৃঢ়ভাবে অংশ নিতে বাইরে বের হয়ে আসার জন্য নারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
নদী বন্দর / এমকে