প্রথম লেগের ম্যাচটি ছিল শ্বাসরূদ্ধকর। ৩-২ ব্যবধানে জিতেছিল জার্মান ক্লাব বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। প্রতিপক্ষ স্প্যানিশ লা লিগার ক্লাব সেভিয়া। ফিরতি লেগে মঙ্গলবার রাতে নিজেদের মাঠেও সেভিয়ার বিপক্ষে শ্বাসরূদ্ধকর একটি ম্যাচ খেলতে হয়েছে ডর্টমুন্ডকে।
যদিও এই ম্যাচে কেউ জেতেনি, কেউ হারেওনি। ২-২ গোলে ড্র হয়েছে। তবে মোট গোল গড়ের ব্যবধান ৫-৪ হওয়ার কারণে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত হয়ে গেলো বরুশিয়া ডর্টমুন্ডেরই।
নরওয়ের তারকা ফুটবলার আরলিং হালান্ডের অসাধারণ নৈপূন্যেই মূলতঃ শেষ আট নিশ্চিত হয়েছে ডর্টমুন্ডের। জোড়া গোল করেছেন তিনি। অন্যদিকে সেভিয়ার হয়েও জোড়া গোল করেন একজন। তিনি হলেন ইউসেফ আন-নাসেরি।
জোড়া গোল করার পর দারুণ একটি রেকর্ডও গড়ে ফেলেন হালান্ড। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সবচেয়ে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ২০ গোল করেছেন তিনি। একই সঙ্গে সবচেয়ে কম বয়সী হিসেবেও। মাত্র ১৪ ম্যাচে এই ২০ গোল করেছেন তিনি। এর আগের রেকর্ড ছিল টটেনহ্যাম অধিনায়ক হ্যারি কেনের। তিনি ২০ গোল করেছিলেন ২৪ ম্যাচে।
শুধু তাই নয়, পিএসজি স্ট্রাইকার কিলিয়ান এমবাপের চেয়েও এক বছর ছোট হালান্ড। এমবাপের বয়স ২৩ বছর আর হালান্ডের বয়স ২২ বছর। চলতি মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ৬ ম্যাচ খেলে ১০টি গোল করেছেন এই নরওয়েজিয়ান তারকা।
চার বছর পর এই প্রথম শেষ ষোল’র গণ্ডি পার হতে পারলো বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। সে সঙ্গে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নিজের গোলসংখ্যা আরও বাড়ানোর সুযোগ পাচ্ছেন হালান্ড। সেভিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের পর তিনি বলেন, ‘এটা ছিল সত্যিই দুর্দান্ত একটি ম্যাচ। আমি এখন খুবই ক্লান্ত। তবে, আমাদের পরবর্তী রাউন্ড অবশ্যই অনেক বড় একটি বিষয়।’
ম্যাচের ৩৫তম মিনিটে মার্কো রেউসের পাস থেকে বল পেয়ে দুর্দান্ত এক শটে সেভিয়ার জালে বল জড়ান হালান্ড। ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে, ৫৪ মিনিটের সময় পেনাল্টি থেকে দ্বিতীয় গোল করেন তিনি।
৬৮ মিনিটে সেভিয়ার হয়ে ইউসেফ আন-নাসেরি পেনাল্টি থেকে গোল করে ব্যবধান কমান। নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার পর, যোগ করা সময়ে (৯০+৬ মিনিটে) গোল করে সেভিয়াকে সমতায় ফেরান সেই নাসেরি। এরপরই ম্যাচ শেষের বাঁশি বাজান রেফারি। শেষ পর্যন্ত দুই লেগ মিলিয়ে ৫-৪ ব্যবধান নিয়ে শেষ আট নিশ্চিত করলো ডর্টমুন্ড।
নদী বন্দর / এমকে